Logo

জাতীয়

নির্বাচনের তফসিল কী, কেন ঘোষণা করা হয়?

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:০৮

নির্বাচনের তফসিল কী, কেন ঘোষণা করা হয়?

গণতান্ত্রিক দেশে তফসিল বলতে সাধারণত নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম ও তারিখসমূহের একটি আইনি সূচি বা সময়সূচিকে বোঝায়। এটি একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কোন কাজ কখন সম্পন্ন হবে— তা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা থাকে। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে নির্বাচন কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

এরই মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সরকারের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ভাগে রমজানের আগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তফসিল ঘোষণার সময় এখন গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে চলুন জেনে নেওয়া যাক- তফসিল কী এবং কেন এটি ঘোষণা করা হয়?

তফসিল কী? 

নির্বাচন আয়োজনের সমস্ত কার্যক্রম কোন সময়ে কীভাবে সম্পন্ন হবে— তার আইনি সময়সীমাবদ্ধ ঘোষণা হলো তফসিল। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখসহ পুরো প্রক্রিয়ার সময়সূচি নির্ধারণ করে।

তফসিলে সাধারণত যে বিষয়গুলো উল্লেখ থাকে—

• মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা : প্রার্থীরা কখন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন।

• মনোনয়ন যাচাই-বাছাই : ইসি কত দিনের মধ্যে মনোনয়ন যাচাই করবে।

• আপিলের সময়সীমা : মনোনয়ন বাতিল হলে প্রার্থীরা কত দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।

• প্রার্থী তালিকা প্রকাশ : চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা কবে প্রকাশ হবে।

• প্রচারণা শুরুর ও শেষের সময় : নির্বাচনী প্রতীক ঘোষণার পর প্রচারণা কখন শুরু ও কখন শেষ হবে।

• ভোটগ্রহণের সময়সূচি : ভোট কোন তারিখে, কোন সময়ে শুরু হবে ও শেষ হবে।

• ভোট গণনা : ভোট শেষে কোথায় এবং কীভাবে গণনা হবে।

নির্বাচনের তফসিল কেন ঘোষণা করা হয়?

সাংবিধানিক দায়িত্বের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) পরবর্তী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল মানে শুধু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়, নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল ধাপের সময়সীমাও এর অন্তর্ভুক্ত।

নির্বাচন আয়োজনের জন্য যে কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করতে হয়, সেসবের জন্য তফসিলে নির্দিষ্ট সময়সূচি উল্লেখ থাকে।

আইন অনুযায়ী—

• তফসিল ঘোষণার পরবর্তী আট দিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হয়।

• এরপর এক দিন বাছাইয়ের জন্য নির্ধারিত থাকে।

• প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য দু’দিন সময় দেওয়া হয়।

• এরপর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়।

• নির্বাচনী প্রচারণার জন্য সাধারণত দুই সপ্তাহ সময় নির্ধারণ করা হয়।

• তবে ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ করতে হয়।

এ সমস্ত ধাপ ও সময়সীমার সমন্বিত বিবরণই হলো নির্বাচনের তফসিল।

সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল হয়েছিল ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর। আর ভোট হয়েছিল পরের বছরের ৭ জানুয়ারি; ব্যবধান ছিল ৫৩ দিন। 

মনোনয়নপত্র জমার সময় ছিল ১৪ দিন, বাছাই ছিল ৪ দিন, প্রত্যাহারের শেষ সময়ের জন্য ছিল ১৩ দিন (এর মধ্যে আপিল দায়েরের ৫ দিন, নিষ্পত্তি ৬ দিন)। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে প্রচারণার সময় ছিল ১৯ দিন এবং প্রচার শেষের ৪৮ ঘণ্টা পর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে।

এসআইবি/এমবি

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর