Logo

জাতীয়

তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি, ভাষণে যা থাকতে পারে

Icon

বাংলাদেশের প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:৫৮

তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি, ভাষণে যা থাকতে পারে

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) ভাষণ রেকর্ড হবে, যা সম্প্রচারের মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। 

বুধবার সন্ধ্যায় অথবা বহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাসউদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাসউদ বলেন, বিটিভি ও বেতারকে চিঠি দিয়েছে ইসি সচিবালয়। ভাষণের মাধ্যমেই তফসিল ঘোষণা হবে। ১০ ডিসেম্বরই হওয়ার কথা, আর সময় নেই। ১১ ডিসেম্বরের মধ্যেই তফসিল দিতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, বুধবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ১১ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) তফশিল ঘোষণা করবে কমিশন।

এদিকে, আজ প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সাংবাদিকদের জানান চলতি সপ্তাহের মধ্যে তফসিল।

সিইসির ভাষণে যা যা থাকতে পারে

ইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) দেশের ইতিহাস, নির্বাচন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব এবং সকল পক্ষের প্রতি আহবানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরতে পারেন।

ভাষণের সম্ভাব্য অংশে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে ২০২৪ সালের জুলাই পর্যন্ত দেশের অগ্রগতি ও যোদ্ধাদের অবদানের কথা উল্লেখ থাকতে পারে। সিইসি বলতে পারেন, “জনগণই রাষ্ট্রক্ষমতার মালিক; অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই তাদের সেই ক্ষমতা প্রয়োগের পথ সুগম হয়।”

তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে একটি “বৃহৎ কর্মযজ্ঞ” হিসেবে বর্ণনা করে বলতে পারেন, জনগণের ভোটে ৩০০ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন এবং এই প্রক্রিয়াকে সফল করতে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি অঙ্গীকার রক্ষায় ইসি দিনরাত কাজ করছে; এমন বার্তাও থাকতে পারে।

ভাষণে ভোটার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করা হবে। বলা হতে পারে, “নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”

সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচনী পরিবেশ গঠনের আহবান জানাতে পারেন। এতে নির্বাচনের ভারসাম্য, স্বচ্ছতা ও জনমতের সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত হয়; এমন মন্তব্য থাকতে পারে।

আচরণবিধি মেনে চলা, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। একই সঙ্গে জালভোট, ব্যালট ছিনতাই, কালো টাকা ও পেশিশক্তির ব্যবহার রোধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাতে পারেন তিনি।

সিইসি বহুদলীয় রাজনীতিতে মতাদর্শগত ভিন্নতা স্বাভাবিক উল্লেখ করে সতর্ক করতে পারেন, এই মতভেদ যদি সংঘাত বা সহিংসতায় রূপ নেয়, তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই নেতিবাচক কার্যক্রম বর্জন করে শান্তিপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরির জন্য রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের প্রতি সহযোগিতা চাইতে পারেন।

ভোটারদের প্রতি আহবান থাকতে পারে যে, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া, ভোট প্রদানে কোনোরূপ প্ররোচনা বা চাপের কাছে নতি স্বীকার না করা, এবং নিজের ভোটাধিকার সঠিকভাবে প্রয়োগ করা।

সর্বশেষে তিনি আশা প্রকাশ করতে পারেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে; দেশ-বিদেশে এর গ্রহণযোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত হবে; জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে।

এসআইবি/আইএইচ

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

সংসদ নির্বাচন সিইসি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর