• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

জীবনধারা

লো ব্লাড প্রেসারে যা করবেন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০২১

অহরহ অনেকের মুখে শুনে থাকবেন হঠাৎ করেই নাকি প্রেসার ওঠানামা করছে। জেনে রাখা ভালো এটি মোটেও কোনো ভালো লক্ষণ নয়। সাধারণত প্রেসার লো হলে মাথা ঘোরানো, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়। অতিরিক্ত ঘাম, ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া, দেহের ভেতরে কোনো কারণে রক্তক্ষরণ হলে যেমন: রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে, শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণেও লো ব্লাড প্রেসার দেখা দিতে পারে।

তবে বিষয়টি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটা উচ্চ রক্তচাপের চেয়ে কম ক্ষতিকর ও স্বল্পমেয়াদী সমস্যা। আর প্রেসার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যায়।

আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক লো ব্লাড প্রেসারে যা করবেন সে ব্যাপারেঃ

কফি-হট চকলেট
হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। স্ট্রং কফি, হট চকোলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন।

বিটের রস
বিটের রস হাই ও লো প্রেসার দুটোর জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

বাদাম
লো-প্রেসার হলে পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন। এটা পেসার বাড়াতে সহায়তা করে।

পুদিনা
ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে পুদিনা পাতা। এর পাতা বেটে নিয়ে এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন।

যষ্টিমধু
আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে রেখে দিন। ২-৩ ঘণ্টা পর পান করুন। এছাড়া দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

স্যালাইন
শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই প্রেসার বেড়ে যায়। লো ব্লাড প্রাসারে খাবার স্যালাইন সবচেয়ে উপযোগী এবং তাৎক্ষণিক ফলদায়ক।তবে যেসব ওষুধে রক্তচাপ কমে বা লো প্রেসার হতে পারে, সেসব ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। যাদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপে ভুগছেন তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকরা নিম্ন রক্তচাপের কারণ শনাক্ত করে তারপর ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকেন। লো ব্লাড প্রাসারে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট এবং গ্লুকোজ খেলেও কিন্তু ভালো উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সময় মতো পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত।

এছাড়াও হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে যা করবেন-লবণ-পানি লবণ রক্তচাপ বাড়ায়। কারণ এতে সোডিয়াম আছে। তবে পানিতে বেশি লবণ না দেওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও এক-দুই চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের চিনি বর্জন করাই ভালো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads