• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি ডিএসসিসি মেয়র

ছবি : সংগৃহীত

মহানগর

এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি ডিএসসিসি মেয়র

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জুলাই ২০১৯

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, বিগত দুই-তিন বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেশি, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। দ্রুততম সময়ে নাগরিকদের জন্য ডেঙ্গুমুক্ত শহর নিশ্চিত করব। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘বিশেষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাপক্ষ ২০১৯’-এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিগত দুই-তিন বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেশি, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শতকরা ৯৮ ভাগ ডেঙ্গু রোগীর জ্বর ৮-১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তিনি বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় এরই মধ্যে ৬৭টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৪৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যুক্ত করা হয়েছে। এরা ডেঙ্গুর বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করে তুলছে। তিনি বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু মোকাবেলায় সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। ডেঙ্গু নিধনের বিশেষ কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করে তোলা হচ্ছে।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে গত রোববার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৪২৪৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখানে লক্ষণীয়, তারা শুধু ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা নয়। তারা সারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। এরই মধ্যে তাদের অধিকাংশই চিকিৎসাসেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের এলাকার কোনো নাগরিক ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া কিংবা বর্ষাকালীন রোগে আক্রান্ত হলে তারা হটলাইনে (০৯৬১১০০০৯৯৯) কল করলে আমাদের মেডিকেল টিমের সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা এবং ওষুধ দেবেন। কেউ যদি মনে করেন তিনি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত নন, তবে আশঙ্কা করছেন তিনিও সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়াও যে কোনো প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে নাগরিকদের।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে ডেঙ্গুর লার্ভা ধ্বংসে কাজ করবেন। এ জন্য নাগরিকদের তাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি। আরো একটি বিষয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগ ১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা তিনজন বলা হলেও, কিছু পত্রপত্রিকা সেটি ১১ জন বলে উল্লেখ করেছে। মিডিয়ার বন্ধুদের কাছে অনুরোধ করে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, অসমর্থিত কোনো সূত্র এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন কোনো চিকিৎসকের বরাত দিয়ে কোনো সংবাদ পরিবেশন করবেন না, যাতে জনমনে আতঙ্ক ও ভীতি সঞ্চার হয়।

‘বিশেষ প্রাথমিক চিকিৎসা সেবাপক্ষ ২০১৯’ সেবা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শরিফ আহমেদ এবং সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads