করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৮ দিনের কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে পুলিশের চেকপোস্টে আগের দিনের তুলনায় বেশি কড়াকড়ি দেখা গেছে। এদিন সড়কে যানবাহনের চাপও বেড়েছে। রাজধানীর মূল সড়কগুলোও ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশার দখলে। চেকপোস্টে আগের মতোই গাড়ি থামিয়ে পুলিশ মুভমেন্ট পাস আছে কি না চেক করছেন। পাস না থাকলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারগুলোকে মামলা দিতেও দেখা গেছে। তারপরও যানবাহনের সংখ্যা কমার কোনো লক্ষণ চোখে পড়েনি। গতকাল রোববার সরেজমিনে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ ছাড়া পুলিশের চেকপোস্টের কারণে কিংবা লোকজনের মনে ভয়ভীতি না থাকায় বিভিন্ন সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেসব সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হচ্ছে অনেকের।
লকডাউনের মধ্যেও ব্যাংকসহ জরুরি যেসব অফিস খোলা রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা রাস্তায় নেমে কর্মস্থলে পৌঁছাতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। গণপরিবহন না থাকায় কেউ এক মোড় থেকে আরেক মোড় পর্যন্ত রিকশায়, আবার কেউ ভাড়া করে প্রাইভেটকারে যাচ্ছেন। অনেকেই মোটরসাইকেলে যাত্রা করে পথিমধ্যে পুলিশের বাধার মুখেও পড়েছেন। মোটরসাইকেলে একজনের বেশি চলাচল করতে দিচ্ছে না পুলিশ। আসাদগেট মোড়ে পুলিশের কোনো চেকপোস্ট না থাকলেও কিছুটা দূর ফার্মগেট মোড়ে পুলিশের কড়া চেকপোস্ট। চেকপোস্টের আগে থেকেই পুলিশ হাত উঁচিয়ে থামার নির্দেশ দিচ্ছে। থামার পরে প্রথমেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে মুভমেন্ট পাস আছে কি না। মোহাম্মদপুর, গাবতলী, শ্যামলী, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর পল্টন মোড়ে চেকপোস্টে আসা প্রতিটি গাড়ি চেক করছেন পুলিশ সদস্যরা। মোটরসাইকেলে দুজন ও মুভমেন্ট পাস না থাকায় মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
পল্টন মোড় চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাফি বলেন, ‘আজ রোববার (গতকাল) কিছু অফিস ও ব্যাংক খোলার কারণে সড়কে মানুষের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে গাড়ির চাপও। প্রত্যেককে চেক করা হচ্ছে। প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের প্রত্যেক যাত্রীদের মুভমেন্ট পাস আছে কি না দেখা হচ্ছে।’
মতিঝিল শাপলা চত্বরে পুলিশের চেকপোস্টে রিকশায় দুজন করে চলাচল করতে পারছে না। রিকশায় দুজন দেখলেই পুলিশ একজনকে নামিয়ে হেঁটে যাওয়ার অথবা অন্য রিকশায় যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। মোটরসাইকেলে দুজন চলাচল করলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ এবং মুভমেন্ট পাস আছে কি না চেক করা হচ্ছে।
