• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
কঠোর লকডাউনে সড়কে বাড়ছে যানজট

ছবি: বাংলাদেশের খবর

মহানগর

কঠোর লকডাউনে সড়কে বাড়ছে যানজট

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ এপ্রিল ২০২১

শুরুতে লকডাউন কঠোর হলেও যতই দিন যাচ্ছে ততই স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। রাস্তাঘাটে কমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা। এই সুযোগে দেদার চলছে যানবাহন। কিছু কিছু রাস্তায় রীতিমতো যানজটও তৈরি হচ্ছে। কিন্তু নিতান্ত প্রয়োজনে যারা বের হয়েছেন তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। কারণ বিত্তবানরা নিজস্ব বাহনে নির্বিঘ্নে চলাচল করলেও গণপরিবহন না থাকায় বিপাকে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। বিধিনিষেধের বেড়াজালে বন্দি মানুষের ১০ টাকার রিকশা ভাড়ায় দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা, আর সিএনজি অটোরিকশার ভাড়া তিনগুণ। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তির অপেক্ষায় মধ্য ও নিম্নবিত্তের  মানুষ। প্রয়োজন যে নিয়ম মানে না, তার নজির এখন রাজধানীজুড়েই।

গতকাল বৃহস্পতিবার রামপুরা, বাড্ডা, গুলশান লিংক রোড, কাকরাইল এলাকায় দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও প্যাডেল রিকশার জট। ৬০ ফিট এলাকায় রিকশা, সিএনজি অটোরিকগা, ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলের ভিড়। কোথাও কোথাও আবার যানজট তৈরি হচ্ছে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গাড়ির দীর্ঘ সারি। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় চেকপোস্টের সামনে গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। কয়েক লাখ মানুষকে দেওয়া হয়েছে মুভমেন্ট পাস। আবার পাস ছাড়াই লাখো মানুষ আছে জরুরি সেবায় নিয়োজিত। সব মিলিয়েই সড়কে এক ধরনের বিশৃঙ্খলায় বেড়েছে জনভোগান্তি।   

লকডাউনের পুরোটা সময় ধরে রাজধানীতে রিকশা চালাচ্ছেন ওমর ফারুক। তিনি বলেন, লকডাউনের শুরুতে যানবাহন রাস্তায় কম ছিল। এখন প্রত্যেক দিন অল্প অল্প করে বাড়ছে। চলাচলে পুলিশ চেক পোস্ট তেমন সমস্যা হয় না। পাবলিক বাস না থাকায় রিকশা ও সিএনজির চাহিদা ব্যপক বেড়েছে, তাই ভাড়াও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশের চেকপোস্টের বিষয়ে তিনি বলেন, শিশুমেলা থেকে ধানমণ্ডির মধ্যে কলেজ গেট ও ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকায় পুলিশের চেক আছে। বেলা ১২টা পরে এই চেক বন্ধ করে দেয়। তখন আবার গাড়ি যে ভাবে চলে, ওইভাবেই চলা শুরু হয়। এখানে চেক আবার বিকাল ৪টা বা ৫টার  দিকে শুরু হয়ে যায়। বিকালে ২-৩ ঘণ্টা চেক চলে। সন্ধ্যা ৭-৮টার পর আর গাড়ির চাপ থাকে না।

মাঠে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন দায়িত্ব পালনে তারা মানবিক। এ শহরে মানুষের দৈনন্দিন নানা প্রয়োজন ও সমস্যা মেটাতে ঘরের বাইরে আসতে হয়। স্বাস্থ্যবিধি মানাটাই লকডাউনের মূল মেসেজ। তাই যারা প্রয়োজনে বাইরে আসছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি দেখেই কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads