• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
অনলাইন ব্যবসায় আসছে নীতিমালা

প্রতীকী ছবি

মহানগর

অনলাইন ব্যবসায় আসছে নীতিমালা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ মে ২০২১

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ২০০০। এ ছাড়া ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক ৫০ হাজার উদ্যোক্তা রয়েছে। ই-কমার্সের এই উত্থানের পাশাপাশি এ খাতে বাড়ছে প্রতারণাও। আর এই প্রতারণা ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রনালয় একটি নীতিমালা তৈরি করছে। জানা গেছে, এর কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ই-কমার্স নীতিমালা ২০২১-এর খসড়া তৈরি করা হয়েছে। এখন সে খসড়ায় সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। মতামত নেওয়া শেষ হলে এটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন জানান, খসড়া নীতিমালায় এ খাত সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়ার পর চূড়ান্ত করে এর প্রয়োগ শুরু হবে। এই নীতিমালা হলে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভবান হবে। ই-কমার্স খাত শৃঙ্খল থাকবে।

ভারতের সেরা ব্র্যান্ডের শাড়ি, পাকিস্তানের থ্রি-পিস, থাইল্যান্ডের জুতা, ব্যাগ, ফ্রান্সের পারফিউম, সরাসরি দুবাই, আমেরিকা থেকে আনা কসমেটিকস তা-ও অর্ধেক দামে। এমন লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে তারা। তবে শর্ত একটাই-এসব পণ্য সংগ্রহ করতে হবে কুরিয়ার থেকে। আর কুরিয়ার চার্জ হিসেবে দুইশ টাকা পাঠাতে হবে বিকাশ কিংবা নগদে। সস্তায় ভালো মানের সেরা ব্র্যান্ডের পণ্যের এমন বিজ্ঞাপন দেখে সাত-পাঁচ না ভেবেই অর্ডার করেন ক্রেতারা। কিন্তু হাতে পাওয়া প্যাকেট খুলে দেখেন পুরোটাই প্রতারণা।

প্রতারণার শিকার রাজধানীর সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজের শিক্ষিকা তানজিনা আক্তার জানান মাস খানেক আগে ইন্ডিয়ান শাড়িজ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে সাউথ ইন্ডিয়ান কাতান অর্ডার করেছিলেন। দোকানে যে শাড়ির দাম পাঁচ হাজার টাকা দেখেছিলেন সেই একই রকম শাড়ি ফেসবুকের ওই পেজে মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা দেখে অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু কুরিয়ারে মোট টাকা পরিশোধ করে যে শাড়ি হাতে পেয়েছেন তা দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে।

অনলাইনে কেনাবেচা সহজ করতে বেশ কিছু উদ্যোক্তা গ্রুপ খুলেছেন ফেসবুকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে উই, হার ই ট্রেড, রিসাইকেল বিন, হাইফাইভসহ বিভাগীয় পর্যায়ে ব্যবসায়ীদেরও বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। সেখানে বিক্রেতা, ক্রেতা উভয়ই পণ্য দেখতে পারেন কেনাবেচাও করে থাকেন। সেসব পেজে প্রতারণার শিকার হয়ে ক্রেতারা তাদের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করে থাকেন।

এ প্রসঙ্গে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘যদিও ই-কমার্স বিজনেস বাংলাদেশ শুরু হয় এক দশক আগে। কিন্তু এর জনপ্রিয়তা বাড়ে গত দুই থেকে তিন বছর আগে থেকে। আমরা সব সময়ই বলি যখন অনলাইনে কেনাকাটা করবেন, তখন অবশ্যই পেজটি ভেরিভাইড কি না দেখে কিনবেন। তবে ই-ক্যাবের সদস্যের বাইরে ভুয়া পেজ তৈরি করে কেউ প্রতারণা করলে সেখানে সহযোাগিতা করার সুযোগ কম থাকে।’

বাংলাদেশে ই-কমার্সের জন্য আলাদা কোনো আইন নেই। গত কয়েক বছরে এর পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ই-কমার্সকে শৃঙ্খলায় নিয়ে আসতে একটি নীতিমালা তৈরি করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যা চূড়ান্তের পথে। সেখানে পণ্যের অর্ডার দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া, তাতে ব্যর্থ হলে অগ্রিম নেওয়া মূল্য জরিমানাসহ ফেরত দেওয়া, খারাপ, মানহীন পণ্য সরবরাহকে ফৌজদারি আওতায় প্রতারণা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads