• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ঝুঁকিপূর্ণ শতবর্ষী ব্রহ্মপুত্র রেলসেতু

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মহানগর

ঝুঁকিপূর্ণ শতবর্ষী ব্রহ্মপুত্র রেলসেতু

  • ময়মনসিংহ ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০২১

সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ময়মনসিংহের ১৩৫ বছর পুরনো ব্রহ্মপুত্র রেলওয়ে সেতু। সেতুটির বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার, বিভিন্ন জয়েন্টের নাট নেই, লাইনে নেই ক্লিপ-হুক ও ফিশপ্লেটও। এ অবস্থায় ১৩৫ বছর পুরনো সেতুটি দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ট্রেন। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শতবর্ষী রেলসেতুটি সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

ময়মনসিংহ নগরীর কেওয়াটখালি সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর প্রায় ৯০০ মিটার ব্রহ্মপুত্র রেলওয়ে সেতুটি দিয়ে চট্টগ্রাম, ভৈরব, মোহনগঞ্জ ও জারিয়া-ঝাঞ্জাইলগামী আন্তঃনগর ট্রেনসহ বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

মুক্তিযুদ্ধে পাকসেনাদের আক্রমণ ঠেকাতে সেতুটি ধ্বংস করা হয়। স্বাধীনতার পর সেতুটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেতুটির সংস্কার করা হয়নি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলসেতুটির ৬৬২টি স্লিপারের মধ্যে অধিকাংশ স্লিপার জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক স্লিপার ভেঙে নষ্ট হয়ে খসে পড়ছে। স্লিপারের নাটবল্টু নেই বহু জায়গায়। লাইন ধরে রাখার জন্য স্লিপারগুলোর হুকও নেই।

লকডাউনের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেল সেতুটির অনেক স্থান থেকে স্লিপার ও নাট-হুক চুরি হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় চরম ঝুঁকির মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে রেল সেতুটি দিয়ে। এছাড়া রেলসেতুটিতে রেলিং বা সেইফ গার্ড নেই।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশনের অবসরপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সেতুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাঁচামালের অপ্রতুলতা রয়েছে। দ্রুত সেতুটির সংস্কার না হলে দুর্ঘটনা হতে পারে।’

‘জনউদ্যোগ’ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘যতক্ষণ বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে বা প্রাণহানি না ঘটে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এটি জাতীয় কালচার হয়ে গেছে। আমাদের দাবি বড় কোনো দুর্ঘটনার আগে যেন সেতুটি সংস্কার করা হয়।’

ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র সেতুটি ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। এটিসহ অন্তত ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু রয়েছে। শতবর্ষ পুরনো হলেও সেতুটি ভাঙার প্রয়োজন নেই। তবে স্লিপারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ পুনরায় নতুন করে সংযোজন করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ হবে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো দিয়ে গতি ও ঝুঁকি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads