• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
অটোরিকশা বিরোধী অভিযানে কাউন্সিলরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

মহানগর

অটোরিকশা বিরোধী অভিযানে কাউন্সিলরের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানীর পল্লবীতে ব্যাটারি চালিত রিকশাবিরোধী অভিযানে ডিএনসিসির ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের ওপর হামলা ও তার অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় পল্লবী থানায়  দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শেখ মোহাম্মাদ আলি আড্ডুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা কমবেশি ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন কাউন্সিলর মানিকের পিএস তারা মিয়া। একইদিনে একটি লেগুনা গাড়ি ভাঙচুর করায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অকেটি মামলা দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটির মালিক শামসুদ্দিন খান।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক সজিব খান জানান, এ ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে শনিবার ( ৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী পল্লবীর ১১ নম্বরের এভিনিউ ৪ এলাকায় ব্যাটারি চালিত রিকশাবিরোধী অভিযানেচালাতে গিয়ে রিকশাচালকদের হামলার শিকার হন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক। এ সময় কাউন্সিলরের সহযোগীরা একাধিক অটোরিকশার ব্যাটারি খুলে ফেলে দেন এবং এক প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে মারধর করে তার টাকাপয়সা রেখে দেন। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে রিকশাচালকরা কাউন্সিলরের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরে এ ঘটনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে কাউন্সিলর মানিক পাশের একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। সংঘর্ষের পরে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে রাখেন রিকশাচালকরা।

এরপর পল্লবীর প্যারিস রোডস্থ কাউন্সিলর মানিকের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

ওইদিন এক প্রতিবন্ধী ব্যাটারি চালিত রিকশার চালক জানান, এ ঘটনার পর কাউন্সিলর মানিককে বড় মসজিদ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এসবি কর্মকর্তারা।  পরে নিজের কর্মীদের দিয়ে নিজের কার্যালয়ে হামলা করিয়ে কাউন্সিলর মানিক রিকশা চালকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা শুরু করছেন বলেও অভিযোগ তুলেন এ রিকশা চালক ।

জানতে চাইলে রিকশা চালকরা জানান, ১ সেপ্টেম্বর ২০০০ টাকা করে নিয়ে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দেয় কাউন্সিলর মানিকের কর্মী লাড্ডান। পরে মানেকর যুব সংঘ অফিস থেকে চালকদের টোকেনও দেয়া হয়। এরপর আবার তারাই অটোরিকশা বিরোধী অভিযান শুরু করে। ওইদিন রিকশাচালকরা মানিক কাউন্সিলরের বহিস্কার ও গ্রেফতারসহ রিকশা বন্ধ না করার দাবি জানান তারা।

কাউন্সিলর মানিকের ওপর হামলা ও তার অফিস ভাঙচুরের ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে দাবি করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শেখ মোহাম্মদ আলি আড্ডু বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী পিস্তল বাবুকে দিয়ে নিজের অফিসে হামলা করিয়ে আমাদের ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছে কাউন্সিলর মানিক ও পল্লবী থানা যুবলীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা।

বিতর্কিত জুয়েল রানাকে আবারো পল্লবী থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে ফিরিয়ে আনতে এ ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন যুবলীগের এ উঠতি নেতা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads