• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নিজের বাইকে আগুন দিলেন চালক

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

নিজের বাইকে আগুন দিলেন চালক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ পাঠাওয়ের এক মোটরসাইকেলচালক ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে নিজেই আগুন দিয়েছেন। ওই চালককে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে পুলিশ।

সোমবার সকালের দিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে ভিডিও’র ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।

ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ওই মোটরসাইকেল চালক ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো মামলার বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। ওই প্রতিক্রিয়ার একপর্যায়ে তিনি নিজের মোটরসাইকেলে পেট্রোল ছড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আশেপাশে থাকা লোকজন মোটরসাইকেলে পানি ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে এতে ওই চালক বাধা দেন। তিনি আরো পেট্রোল ঢেলে দিলে মোটরসাইকেলটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

বাড্ডা থানা সূত্রে জানা যায়, ওই ক্ষুব্ধ ব্যক্তি রাজধানীর লিংক রোড এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্য করায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ তার কাগজপত্র দেখতে চান। কথাবার্তার একপর্যায়ে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের গাড়িতে আগুন লাগান।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই ব্যক্তি রাজধানীর লিংক রোড এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্য করায় দায়িত্বরত একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট তার কাগজপত্র দেখতে চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ তাকে থামিয়ে মোটরসাইকেলটির আগুন নিভায়।

তিনি বলেন, মোটরসাইকেলটি এবং ওই বিক্ষুব্ধ চালককে আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তাকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তার ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণটি এবং সে কেন এমনটি করেছেন বোঝার চেষ্টা করছি।

গুলশান ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে সেখানে আগে থেকেই ট্রাফিক সদস্যদের বলা ছিল কোনো মোটরসাইকেল সকালবেলা সেখানে দাঁড়াবে না। ঘটনাস্থলে রাইড শেয়ারিংয়ের একটি মোটরসাইকেল দাঁড়ালে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা তার কাছে কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু মোটরসাইকেল চালক কাগজপত্র না দেখিয়ে উল্টো রেগে নিজের বাইকে নিজেই আগুন ধরিয়ে দেন।

মোটরসাইকেল চালকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা দেওয়া হয়নি। তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার সময় তিনি নিজেই ওই আগুন ধরিয়ে দেন।

পাঠাওচালক পুলিশ হেফাজতে থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি। ক্ষুব্ধ ওই চালকের নাম শওকত আলম সোহেল বলে জানা গেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads