• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

মহানগর

ডা. মিলনের সমাধিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের শ্রদ্ধা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৭ নভেম্বর ২০২১

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের নেতৃত্বে আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে ডা. মিলনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ, দক্ষিণের অন্তর্গত থানা, ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক বলেন, আজ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নেতা শহীদ ডা. মিলনের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবছর ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশে শহীদ ডা. মিলন দিবস পালিত হয়। ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ শে নভেম্বর স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডা.শামসুল আলম খান মিলন নিহত হন। এই শোকাবহ ঘটনার স্মরনে ১৯৯১ খ্রীস্টাব্দ থেকে প্রতি বছর শহীদ ডা. মিলন দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে।

তিনি আরো বলেন,ডা. মিলনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তখন নতুন গতিবেগ সঞ্চারিত হয়। পরে ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এরশাদ সরকারের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।আজ আমারা ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষ থেকে ডা. মিলনের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি এবং একই সাথে ডা. মিলনের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

উল্লেখ্য, ডা. মিলনের মধ্য দিয়ে তখনকার স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চারিত হয় এবং অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। ডা. মিলনের জন্ম ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২১ আগস্ট ঢাকা হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে। ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে শিল্পকলা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল আর্টস) বিভাগে ২য় স্থান অধিকার করে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এইচএসসি পাশ করেন নটরডেম কলেজের ছাত্র হিসাবে। এর পর চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন (ব্যাচ কে-৩৪)। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন ও ডাক্তারী পেশায় যোগ দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads