• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আইনের কঠোর প্রয়োগে তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে আনা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

আইনের কঠোর প্রয়োগে তামাকপণ্য নিয়ন্ত্রণে আনা হবে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চৌকস ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪০ সালের মধ্যে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে তামাক পণ্য ও ধূমপান নিয়ন্ত্রণে আনা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

গতকাল রোববার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে নীতি-নির্ধারকদের কাছে প্রত্যাশা” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী প্রধান অতিথি এবং তথ্য ও সম্প্রসার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মকবুল হোসনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

মকবুল হোসেন বলেন, তামাক বা নেশা থেকে যুব শক্তিকে ফেরানো না গেলে তাদের দিয়ে জাতি বেশি দূর এগোতে পারবে না। এজন্য সরকারী-বেসরকারী সমন্বিত উদ্যোগ থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়নে যুব সমাজকে সব নেশা থেকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগীকরণে ৬ টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ডরপ এর উপ-নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান। এতে সভাপতিত্ব করেন ডরপ এর চেয়ারম্যান মো. আজহার আলী তালুকদার।

মুক্তিযোদ্ধামন্ত্রী বলেন, আমি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, অর্থ এবং আইন মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী ও সময়োপযোগী করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। ”

সচিব মো. মকবুল হোসেন বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রতি বর্তমান সরকার খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর এক বছর আগেই (২০৪০ সালে) তিনি দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন। এটি সম্ভব। কারণ তিনি যা বলেন তা’ করেন।”

ডরপের ৬ প্রস্তাব : সব জনসমাগম এবং গণ পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা ; তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা ; বিক্রয় কেন্দ্রে তামাক দ্রব্যের প্রদর্শনী নিষিদ্ধ করা, ই সিগারেট বা ইমার্জিং হিটেড টোব্যাকো প্রডাক্ট আমদানি, উৎপাদন, ব্যবহার ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করা; তামাক পণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা ও সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার প্যাকেটের ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা; এবং তামাকজাত দ্রব্যের প্যারে বা কৌটায় নূন্যতম পরিমাণ নির্ধারণসহ মোড়কীকরণে কঠোর নিয়ম আরোপ করা তথা প্লেইন প্যাকেজিং বাস্তবায়ন করা। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী করার প্রস্তাবসমূহ আইনে অন্তর্ভুক্ত হলে সাধারণ মানুষ তামাকজনিত রোগের অকাল মৃত্যুর থেকে রক্ষা পাবেন।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার বলেন , “ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ আলোচনা সভায় প্রস্তাবিত ৬টি দাবির সাথে একমত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন যে খসড়া তৈরি হয়েছে তাতে ডরপ এর দাবির সবগুলো বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এটি সফল হয়েছে সম্মিলিত তামাক বিরোধী ক্যাম্পেইনের কারণে। ”

আলোচনায় আরও অংশ নেন, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস (সিটিএফকে) বাংলাদেশ- এর লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি জাকির হোসনে লিটন প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads