• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
শুরু হলো নতুন ঢাকার যাত্রা!

সংগৃহীত ছবি

মহানগর

শুরু হলো নতুন ঢাকার যাত্রা!

  • বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ আগস্ট ২০২২

ঢাকাকে নতুন করে গড়ে তুলতে ও ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পাস হলো ড্যাপ ২০১৬-৩৫ (বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা)। প্রণীত ড্যাপে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকাসহ কৃষি, জলাশয়, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, যোগাযোগ, বন্যাপ্রবাহ এলাকাগুলো চিহ্নিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

এই প্রজ্ঞাপন প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ২০১০ সালের ২২ জুন জারি করা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারাধীন ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা অকার্যকর হলো। এখন থেকে ঢাকার ভূমির ব্যবহার নির্ধারণ, উন্নয়ন কার্যক্রম ও এর নিয়ন্ত্রণ ড্যাপের এই নতুন পরিকল্পনা দ্বারা পরিচালিত হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ড্যাপ মেনে আবাসন ব্যবস্থা এবং বিল্ডিং কোড অনুসরণ করে ভবন তৈরি করলে বদলে যাবে ঢাকা। নিশ্চিত হবে সবার জন্য সুন্দর ও পরিবেশেবান্ধব আবাসন ব্যবস্থা। পরিবেশ ও নগরবিদরা বলছেন, ড্যাপ ছাড়া আগামীর ঢাকাকে রক্ষা করা যাবে না। তাই শুধু কাগজে কলমেই নয়, ড্যাপ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কঠোর থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে পরিবেশ রক্ষার্থে ঢাকা ব্যর্থ হলে পুরো বাংলাদেশই ব্যর্থ হয়ে যাবে। তবে আবাসন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রণীত ড্যাপে ছোট ছোট জমির মালিকদের জন্য বড় সমস্যা তৈরি করবে। আবাসন খাতকে হুমকির মুখে ফেলবে। আর ভাড়ায় থাকায় মধ্যবিত্ত মানুষের তৈরি হবে আবাসন সংকট।  

নতুন এ ড্যাপে বলা হয়েছে, নগর এলাকায় জায়গার স্বল্পতা থাকায় অপেক্ষাকৃত কম জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন জরুরি। নতুন পরিকল্পনার উদ্দেশ্য হলো, পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান রেখে অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণ। এর ফলে বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট ইমারত নির্মাণ করা যাবে। জমি অধিগ্রহণ বাবদ খরচও কমে যাবে। তাছাড়া যত্রতত্র নগরাঞ্চল সমপ্রসারণ কমিয়ে আনা এবং শহরের নিচু জমি ও কৃষিজমির সুরক্ষা করাও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।

ড্যাপের লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন এলাকার জনসংখ্যার ঘনত্বের অনুপাতে সেখানকার নাগরিক সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ঢাকাকে একটি উন্নত বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তোলা। ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি বিস্তৃত এলাকাজুড়ে পরিকল্পিত অবকাঠামো গড়ে তুলে আরো ২.৬ কোটি লোকের বাসস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যও রয়েছে ড্যাপের।

ঢাকার সবচেয়ে জনবহুল এলাকা যেমন লালবাগ, বংশাল, সবুজবাগ এবং গেন্ডারিয়ায় বড় ধরনের সংস্কারের পরিকল্পনা করেছে ড্যাপ। এই এলাকাগুলোতে প্রতি একরে ৭০০ থেকে ৮০০ জন বাস করে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চ। কেন্দ্রীয় ঢাকায় প্রতি একরে ২০০ জন এবং পুরান ঢাকার এলাকায় প্রতি একরে ২৫০ জনের ঘনত্ব বজায় রাখতে চায় ড্যাপ। গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, পূর্বাচল এবং ঝিলমিল এলাকায় একর প্রতি ১৮০ জন এবং অন্যান্য শহরাঞ্চলে একর প্রতি ১৫০ জনের ঘনত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যও রয়েছে ড্যাপের। ঢাকা শহরের ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার নিয়ে ২০ বছরের (২০১৬-২০৩৫) যে বিশদ পরিকল্পনা করা হয়েছে তার ইতোমধ্যেই ছয় বছর চলে গেছে।

আবাসন খাতের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, প্লট হাউজিং স্কিমের পরিবর্তে ব্লক-ভিত্তিক ব্যবস্থা করা আবাসন খাতকে হুমকির মুখে ফেলবে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (রিহ্যাব) চেয়েছিল সরকার যাতে এই পরিকল্পনা অনুমোদন না করে। তাদের মতে, পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে ভবনের আকার ৩৩ থেকে ৫৩ শতাংশ কমে যাবে। এতে ফ্ল্যাটের দাম অন্তত ৫০ শতাংশ হলেও বাড়বে, যা প্রভাবিত করবে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতাকে।

রিহ্যাবের সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, সাধারণ ছোট ছোট জমির মালিকদের জন্য এ ড্যাপ বড় সমস্যা তৈরি করবে। এখনো ৭০ ভাগ বাড়ি ছোট জমির ওপর ৩/৪ তলা করে নির্মিত। ব্লকভিত্তিক হলে এ সুযোগ কমে যাবে। মধ্যবিত্ত মানুষের বেতনের বেশিরভাগ টাকাই চলে যায় ঘর ভাড়ায়। ড্যাপের নতুন নীতিমালার কারণে আরো বেশি ভোগান্তি হবে তাদের। তাদের আয়ের সিংহভাগ ঘর ভাড়ায় চলে যাবে। সাথে সাথে সাবলেটের সংখ্যাও বেড়ে যাবে, যোগ করেন তিনি।

গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ড্যাপের ঢাকায় ভবন নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়ন না করার জন্য অনুরোধ করেছিল রিহ্যাব। তারা আশঙ্কায় করেছিল, এ পরিকল্পনা আবাসন খাতের ২৬৯টি সহযোগী শিল্পকেও প্রভাবিত করবে।

এ সময় ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম রিয়েলটরদের দাবিকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেন। তিনি সে সময় বলেন, আমরা ২০৩৫ সালের ঢাকার ভবিষ্যৎ বিবেচনা করে পরিকল্পনাটি তৈরি করেছি যাতে কোনো এলাকা অতিরিক্ত জনবহুল না হয়। পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা মিশ্র ভূমি ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন প্রস্তাব করেছি।

ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, ড্যাপের খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পরে রিহ্যাব এবং বিভিন্ন পেশাজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বেশ কিছু স্থানে পরিবর্তন হয়েছে। আমরা চূড়ান্ত ড্যাপের কপি হাতে পেলে বুঝতে পারবো কোথায় কেমন পরিবর্তন হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন এলাকায় ভবনের উচ্চতার বিষয়টি আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের নগরে এমনিতেই জায়গা সংকট তাই উভয়পক্ষ থেকেই বিবেচনা করতে হবে, বলেন তিনি।

ড্যাপ ২০১৬-২০৩৫ এ যা আছে : প্রকল্প এলাকাকে ছয়টি স্বতন্ত্র প্রধান অঞ্চলে এবং ৭৫টি উপ-অঞ্চলে বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকাসহ কৃষি, প্রাতিষ্ঠানিক, জলাশয়, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, যোগাযোগ, বন্যাপ্রবাহ ইত্যাদি এলাকাসমূহ পরিকল্পনায় চিহ্নিত করা হয়েছে। নতুন ড্যাপ নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তের আবাসনের জন্য ৫৭টি স্থান চিহ্নিত করেছে। তাদের জন্য ৬৫০ থেকে ৭০০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন ড্যাপ প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম।

নতুন ড্যাপে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা, সাভারের বংশী নদী, কালীগঞ্জ-রূপগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জকে রাজউকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, রাজউকের ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকার ৬০ শতাংশ শহরাঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

ড্যাপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঢাকায় ২২৮ কিলোমিটার আন্তঃআঞ্চলিক সংযোগ সড়ক রয়েছে, যা বাড়িয়ে ২৯১ কিলোমিটার করা হবে। এছাড়া সংগ্রাহক সড়কটিকে ১২০০ কিলোমিটার প্রসারিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে। পাশাপাশি, শহরে ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন এবং ৫৭৪ কিলোমিটার জলপথ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।

একটি পরিবেশবান্ধব শহর তৈরির পরিকল্পনায় পাঁচটি বড় আঞ্চলিক পার্ক, ৫৫টি ওয়াটার পার্ক, ১৩টি বড় ইকো-পার্ক (ভাওয়াল বনসহ), ১৩টি অন্যান্য পার্ক এবং খেলার মাঠ নির্মাণকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে এ অঞ্চলে ৬২৭টি স্কুল, ২৮৫টি কলেজ ও ২৮৭টি হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। ড্যাপে বুড়িগঙ্গা নদীকে ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে সংরক্ষণ করে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত করার পরামর্শও রয়েছে পরিকল্পনায়।

ঢাকার সাথে আশপাশের শহরকে যুক্ত এবং যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ৬টি মেট্রো, ২টি বিআরটি, ৬টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের সমান্তরালে ২টি প্রধান সড়ক, ২টি রিং রোড, রিং রোডের সাথে সংযুক্ত রেডিয়াল রোড এবং বৃত্তাকার নৌপথের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকার চারদিকে মোট ১৩টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং ২টি ট্রাক টার্মিনালের প্রস্তাবও করা হয়েছে।

জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী বিদ্যমান রাসায়নিক গুদামসমূহ পর্যায়ক্রমে স্থানন্তরের সুপারিশ করা হয়েছে পরিকল্পনায়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামানুসারে কেরানীগঞ্জে প্রায় ৪২৫ একর জায়গা নিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি) এর নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, কিছুটা বিলম্বে হলেও অনুমোদিত এই ড্যাপ সঠিক ভাবে প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন হলে বদলে যাবে ঢাকা। অতীতে ঢাকা মহানগরীর জন্য প্রণীত কাঠামোগত পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা কিংবা বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা দলিলগুলো সঠিক ও পূর্ণ বাস্তবায়নের অভাবেই ঢাকা ক্রমান্বয়ে বাসযোগ্যতা হারিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করেই অনুমোদনহীন শিল্প-কারখানা কিংবা ভবন নির্মাণ হয়েছে কিংবা ভূমি ব্যবহার নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে জলাধার-বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল ভরাট করা হয়েছে। ফলে ঢাকার বাসযোগ্যতা কমেছে মারাত্মকভাবে এবং ঢাকা ক্রমশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, এবারের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় আধুনিক নগর পরিকল্পনার বেশ কিছু কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে। সে সব বিষয়ের পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন শহরের মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করবে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির(বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ড্যাপ এর প্রজ্ঞাপন যেন কাগজে-কলমে না থাকে।  আমাদের দেশের অনেক কিছুই কাগজে-কলমের পদক্ষেপের সাথে, বাস্তবের পদক্ষেপের কোনো মিল নেই।

তিনি বলেন, ১৯৫৩ সালের আইন দিয়ে ঢাকার উন্নয়ন সম্ভব না। রাজউককে ঢেলে সাজাতে হবে, সেখানে উন্নয়ন কার্যক্রম এবং পরিচালনা কার্যক্রম আলাদাভাবে চালাতে হবে। এজন্য ড্যাপের গুরুত্ব ও বাস্তবায়ন অপরিসীম। কারণ, ড্যাপ ছাড়া ঢাকাকে বন্যা থেকে রক্ষা করা যাবে না।

নগর পরিকল্পনাবিদ আকতার মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে পরিকল্পনা হয়, আইন প্রণয়ন হয়, কিন্তু বাস্তবায়নের হার বরাবরই কম। নতুন যে ড্যাপ তা বাস্তবায়ন করবে কারা? রাজউক এলাকায় চারটি সিটি করপোরেশন আছে। এছাড়া অনেক ইউনিয়ন পরিষদ আছে। তাদের সবার সঙ্গে সমন্বয় করে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। একা ড্যাপ বাস্তবায়নের সক্ষমতা তাদের নেই। এ জন্য রাজউককে শক্তিশালী করতে হবে। মনে রাখতে হবে, ড্যাপ বাস্তবায়নে ঢাকা ব্যর্থ হলে বাংলাদেশও ব্যর্থ হয়ে যাবে। সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলেই কেবল ড্যাপ বাস্তবায়ন সম্ভব।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নগর পরিকল্পনাবিদ ও ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, নতুন ড্যাপ কার্যকর হলে রাজধানীসহ আশপাশে ব্যাপক পরিবর্তন হবে। সংশোধিত ড্যাপ প্রণয়ন করা আগে মাঠ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের মতামত নেওয়া হয়েছে। নগরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো নিরসনের জন্য নগর পুনঃ উন্নয়ন, জনঘনত্ব জোনিং, জোনভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনাসহ নানা কৌশল নতুন ড্যাপে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ঢাকা মহানগরীসহ রাজউক এলাকাভুক্ত এলাকা পরিকল্পিত নগরায়ণের রূপ নেবে।

ড্যাপের আহ্বায়ক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আগামীর ঢাকাকে বাসযোগ্য করতে এটির বিকল্প নেই। আবাসিক এলাকায় আগামীতে যে বাড়িগুলো নির্মাণ হবে সেগুলোর সঙ্গে সামঞ্জ্যস্যপূর্ণ রাস্তা লাগবে। যদি কোনো এলাকায় ৩০টা বাড়ি হয় ওই পরিমাণ রাস্তা থাকতে হবে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কারণ রাস্তা না থাকলে মানুষকে তো ঘরে বসে থাকতে হবে। প্রণীত ড্যাপে এগুলোই আসছে। এটি বাস্তবায়নে আমরা স্পেশাল প্ল্যানের জন্য সবাই একমত হয়েছি। আমরা একটি ডেটা ব্যাংক করব, তাহলে আমাদের জন্য কাজগুলো সহজ হবে। কীভাবে, কাকে এনগেইজড করতে পারি সেটি নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলব এবং একটি কালেকটিভ বডি তৈরি করব।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads