• রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪২৯

মহানগর

দ্রুতগতির উড়াল মহাসড়ক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্রথম দ্রুতগতি উড়াল মহাসড়ক ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন তিনি। আগামীকাল রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) থেকে সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। এর ফলে মাত্র ১২ মিনিটে থেকে কাওলা থেকে ফার্মগেট পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার গণমাধ্যমে বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর প্রান্ত কাওলা থেকে শুরু করে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটারের অংশটুকু যেতে সর্বোচ্চ ১২ মিনিট সময় লাগবে।

এদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যাতায়াত করতে বেশ কিছু নির্দেশনা মানতে হবে। সেতু বিভাগ এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা উড়ালসড়কে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তাই মোটরসাইকেল বা অটোরিকশা নিয়ে উড়ালসড়কে ওঠা যাবে না। গাড়ি নিয়ে গিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও যানবাহন থেকে নেমে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। উড়ালসড়কে উঠতে ও চলাচল করতে পারবেন না পথচারীরা।

এ ছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে চলতে হলে গাড়িভেদে নির্দিষ্ট অঙ্কের টোল পরিশোধ করতে হবে। কার, ট্যাক্সি, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল দিতে হবে ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, ৬ চাকার বেশির ট্রাক ৪০০ টাকা এবং সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা তার বেশি) জন্য ১৬০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র‍্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।

উল্লেখ্য, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি নামে প্রকল্পটি ২০১১ সালে হাতে নেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর। পুরোপুরি কাজ শেষ না হলেও আপাতত বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের নির্মাণ ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads