• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
গরমের আউটফিট

সংগৃহীত ছবি

মন

গরমের আউটফিট

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৪ এপ্রিল ২০২১

সময় এখন গরমের। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রার মেজাজ। যান্ত্রিক পরিবেশে গরম যেন আরো ভয়ংকর হয়ে উঠছে দিনদিন। তাই এ সময় বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রয়োজন শরীরের ভেতরের আর্দ্রতাকে নিয়ন্ত্রণ করা। এ সময় পোশাকের ব্যাপারে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন। পোশাক বাছাই করতে হবে একটু ভেবে চিন্তে। শরীরকে স্বস্তি দিতে পারে এমন পোশাকই এ সময় পরা উচিত

সময় এখন গরমের। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রার মেজাজ। যান্ত্রিক পরিবেশে গরম যেন আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে দিনদিন। তাই এ সময় বাইরের পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের প্রয়োজন শরীরের ভেতরের আর্দ্রতাকে নিয়ন্ত্রণ করা। এ সময় পোশাকের ব্যাপারে বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন। পোশাক বাছাই করতে হবে একটু ভেবে চিন্তে। শরীরকে স্বস্তি দিতে পারে এমন পোশাকই এ সময় পরা উচিৎ।

ফ্যাশন ডিজাইনারদের মতে, গরমরে সময় হালকা ও আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। এমন পোশাক বাছাই করতে হবে যা তাপ শোষণ করে কম। সেদিক থেকে গরমের জন্য সুতি কাপড়ই আরামদায়ক। তবে দুপিয়ান, বয়েল, চিকেন ও তাঁতের কাপড় গরমের জন্য বেশ উপযোগী। কোনো উৎসব বা রাতের কোনো পার্টিতে পরা যেতে পারে লিলেন, মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান।

আর গরমের পোশাকের জন্য আদর্শ রঙ হলো সাদা। এছাড়াও গোলাপি, জলপাই সবুজ, আকাশি, হালকা হলুদ, ঘিয়ে হালকা ম্যাজেন্টা এ রংগুলোর হালকা শেড গরমে উপযোগী। কালো বা গাঢ় রঙের পোশাক অতিরিক্ত তাপ শোষণ করে। তাই এ ধরনের কাপড় পরিধান না করাই ভালো।

গরমে ছেলেদের পোশাক

সময় আরামদায়ক পোশাক হিসেবে ছেলেরা বেছে নিতে পারেন হাফশার্ট বা ক্যাজ্যুয়াল শার্ট, টি-শার্ট কিংবা পলো টি-শার্ট। এ সময়টাতে ছেলেরা অনায়াসে বেছে নিতে পারেন টি-শার্ট। টি-শার্ট যেমন ফ্যাশনেবল তেমনি আরামদায়ক। এখন গোলগলা ও কলার দুই ধরনের টি-শার্টই বেশ চলছে। বর্তমানে একরঙা ও চেক টি-শার্টের পাশাপাশি টি-শার্টের ক্যানভাসে নেই রঙ, তুলি কিংবা ডিজাইনের কমতি। টি-শার্টগুলো এখন নানা রঙ ও নকশায় ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে প্রিয় ব্যক্তিত্বের ছবি, নানা রকম উক্তি, লোগো, রিকশা পেইন্ট, বর্ণমালা, রবীন্দ্র-নজরুলের কবিতার লাইন, প্রকৃতি, স্বাধীনতা, একুশসহ নানা মোটিফ। টি-শার্টে এখন নতুনত্ব হচ্ছে হাফ হাতার নিচের দিকে ও কলারে ভিন্ন কাপড়ের ব্যবহার। এসব ছাড়াও ফতুয়া গলার টি-শার্টও বেশ চলছে। এগুলোর হাতা বা নিচের দিকে পাইপিং দেয়ায় এসেছে নতুনত্ব। কাঁধে বা হাতায় একাধিক মোটা সেলাই দেয়া হচ্ছে। ফ্যাশনে এখন বেশ জনপ্রিয় পলো টি-শার্টও। পলো টি-শার্টে উজ্জ্বল রঙগুলোই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। পাশাপাশি লম্বালম্বি, আড়াআড়িসহ কয়েক রঙের চেকের পলো টি-শার্টও হাল ফ্যাশনে জনপ্রিয়। প্লাস পয়েন্টের কর্ণধার ও ডিজাইনার সাইফুল ইসলাম বিপুল বলেন, টি-শার্ট এবং পলো টি-শার্টের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের স্ট্রাইপ এবং এক কালার এখন ট্রেন্ড। ব্লক, বাটিক, স্কিন প্রিন্টসহ প্রতিটি টি-শার্ট যেন একেকটি রং-তুলির ক্যানভাস। টি-শার্ট প্রিন্ট চললেও পলো টি-শার্টগুলোতে এখন একরঙা উজ্জ্বল রঙ বেশি ব্যবহার হচ্ছে। গরমে স্টেচিং নিট কাপড়ের টি-শার্ট আরামদায়ক।

মেয়েদের পোশাক

চারিদিকে এখন ওয়েস্টার্নের জয়জয়কার। এই গরমে তাই মেয়েরা চাইলে টি-শার্ট, টপস, ফতুয়া, ম্যাক্সি টাইপ পোশাক পরে স্বচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন। গরমে টি-শার্টের চেয়ে আরামদায়ক পোশাক আর নেই। তাই চাইলেই মেয়েরা টি-শার্ট পরে স্বচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারেন। দেশে এখন অনেক নামীদামী ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতেই টি-শার্ট পাওয়া যায়। যেগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইন পোস্টার প্রিন্ট করা থাকে। যা দেখতেও ভালো লাগে। এ সময় আরামে ঘুরতে ফিরতে ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে টি-শার্টের জুড়ি মেলা ভার। আর এই পোশাক যে কোনো বয়সেই পরা যায় অনায়াসে। চাইলে মেয়েরা এ সময় কুর্তিও বেছে নিতে পারেন। বাজারে সুতি কাপড়ের কুর্তি এখন সব হাউজগুলোতেই পাওয়া যায়। এগুলো একদিকে যেমন দেশিয় ঐতিহ্য প্রকাশ করে তেমনি অনেক ফ্যাশনেবলও। সুতি কাপড়ের এসব কুর্তি বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের হয়। চাইলে যে কেউ কুর্তি পরে সবার নজর কাড়তে পারেন সহজেই। সালোয়ার কামিজের পাশাপাশি আরও অনেক রকমের পোশাক এখন পরছে মেয়েরা। কিন্তু কর্ম ব্যস্ততাই বলি আর বিশ্বায়নের জোয়ারই বলি দিনে দিনে বাঙালি মেয়েদের পছন্দের পোশাকে পরিণত হয়েছে টপস। প্রাচ্য পাশ্চাত্যের মিশেলে এসব টপসের লেন্থ কখনও খাটো বা কখনও হয় লম্বা। আর বডিফিটিং এবং শর্ট স্লিভের। বর্তমানে টিএনএজ ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরাই ফতুয়া বেশি পরেন। প্রতিদিন বিভিন্ন কাজে ঘর থেকে বের হতে প্রয়োজন আরামদায়ক পোশাক। এজন্য অনেক মেয়েই বেছে নিচ্ছেন ফতুয়া। হালকা কাজ, আরামদায়ক কাপড় আর দামও হাতের নাগালে থাকার কারণে ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের দৈনন্দিন পোশাকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এই পোশাক। বর্তমান চাহিদার বিষয় মাথায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন ঘরগুলো তাদের সংগ্রহে রেখেছে বিভিন্ন রং ও ধরনের ফতুয়া। পাশাপাশি কাটছাঁটেও এসেছে ভিন্নতা। তাই খুব সহজেই ফতুয়া পরে দৈনন্দিন জীবন অনেক আরামদায়ক করে তুলতে পারেন। অভিজাত শ্রেণির মধ্যে স্লিভলেস পার্টি ড্রেসের ব্যবহার কম নয়। একসময় গরমে স্বস্তির জন্য ব্যবহূত হলেও হাল ফ্যাশনে অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছ স্লিভলেস কামিজ। ফ্যাশনসচেতন অনেকেই এই সময়ে স্বস্তি আর স্টাইল বিবেচনায় এ ধরনের পোশাককেই বেছে নেন। স্লিভলেস অ্যালাইন টিউনিক একসময় আন্ডার-গার্মেন্ট হিসেবে ব্যবহূত হলেও ধীরে-ধীরে এটি স্লিভলেস কামিজে রূপান্তরিত হয়ে স্বতন্ত্র একটি পোশাকে পরিণত হয়েছে। ফলে শিশু থেকে তরুণী, এমনকি মধ্যবয়সী নারীরও আজকাল পরিধেয় হয়ে উঠেছে স্লিভলেস কামিজ। তবে এ ক্ষেত্রে তরুণীরাই নিজেদের স্টাইলিশ লুকের জন্য স্লিভলেস সালোয়ার-কামিজ বেশি ব্যবহার করেন।

পোশাকের সঙ্গে অনুষঙ্গ

পোশাকের সঙ্গে অনুষঙ্গ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গরমে পোশাকের সঙ্গে মানানসই হালকা চটি বেশ আরামদায়ক। হাতে কাঠের বালা বা সুতোর চুড়ি পরতে পারেন। কানে পরতে পারেন পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে ছোট দুল। গরমে ধাতুর তৈরি গয়না না পরাই ভালো। এর বিকল্প হিসেবে পরতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি দুল, চুড়ি বা বড় মালা। ব্যাগ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন ঝোলা ধরনের ব্যাগ। তার ভেতরে রাখতে পারেন একটি রোদ-চশমা। উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া দেখতে বেশ আকর্ষণীয় লাগবে।

ফর্মাল পার্টি বা ইভেন্ট

ফর্মাল পার্টির ধরন বুঝে পোশাক ও অনুষঙ্গ বেছে নিতে হয়। ঘড়ি এমন একটি অনুষঙ্গ যা নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না করলেও চলে। কারণ মেটাল, লেদার কা চেইন সব ধরনের বেল্ট বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

স্মার্টওয়াচ শুধুমাত্র সময় যন্ত্র নয়, এতে রয়েছে হাজারো ফিচার। আর এটি এক ধরনের ইনভেস্টমেন্টও বটে। তাই নিজের চাহিদা ও পছন্দের সঙ্গে মানিয়ে স্মার্টওয়াচ বেছে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, ঘড়ি বরাবরই রুচিশীলতার পরিচয় তুলে ধরে। তাই সবদিক বিচার করেই ঘড়ি বেছে নিতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads