• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

জমিতে সার ছিটানে ব্যাস্ত কৃষক

ফাইল ফটো

অর্থ ও বাণিজ্য

সারে ভর্তুকি সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ এপ্রিল ২০১৮

সার খাতে বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। অর্থবছর (২০১৬-১৭) সরকার সারে ৩ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল। আগের অর্থবছর (২০১৫-১৬) ভর্তুকির পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সারে ভর্তুকির ফলে কৃষি উৎপাদনে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা জোরদার হয়েছে। জাতীয় স্বার্থে ভর্তুকির উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন। রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে শনিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান পোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), দ্য ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার মহাপরিচালক সতীশ চন্দর, বিএফএ’র সহসভাপতি মো. মোমেন সরকার বক্তব্য দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে। এ জন্য এরই মধ্যে ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে। এ কারখানায় বছরে ৫ লাখ টনেরও বেশি সার উৎপাদন হচ্ছে। পাশাপাশি নরসিংদীর পলাশে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ নামে আরেকটি নতুন কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

এদিকে, বিএডিসির মাধ্যমে আমদানিকৃত নন-ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার বিসিআইসি ডিলারদের মাধ্যমে বিতরণের দাবি জানিয়েছেন বিএফএ নেতারা। তারা বলেন, বিএফএ’র সদস্যভুক্ত সার ডিলাররা ১৯৯৫ সাল থেকে চাষি পর্যায়ে সুষ্ঠু সার সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সার ব্যবস্থাপনায় তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নন-ইউরিয়াসহ সব ধরনের সার কৃষকদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ সম্ভব।

অনুষ্ঠানে বিএফএ’র নেতারা মিল গেট ও বাফার গুদামে ইউরিয়া সারের একই মূল্য নির্ধারণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে শূন্য কোটা ছাড়া অংশবিশেষের জন্য নতুন ডিলার নিয়োগ বন্ধ রাখায় সরকারের প্রশংসা করেন। তারা অঞ্চলভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী মোটা ও চিকন দানার ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং বর্তমানে চাষিপর্যায়ে সারের চাহিদা কম থাকায় এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত সার উত্তোলন ঐচ্ছিক করার দাবি জানান। পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা সরকার নির্ধারিত সারের বিক্রয়মূল পুনর্নির্ধারণের জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads