দুর্নীতির দায়ে ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে রাষ্ট্রীয় পদে আজীবন অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।  শুক্রবার দেশটির সর্বেোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এই রায় প্রদান করেন। এই রায়ের ফলে নওয়াজের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ নিয়ে সৃষ্ট অস্পষ্টতা দূর হলো।  বিচারপতি উমর আতা বানদিয়াল শুক্রবারের রায় পড়ে শোনান। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জনগণ সৎ চরিত্রের নেতা পাওয়ার দাবিদার।’

২০১৭ সালের ২৮ জুলাই পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি মামলায় পাকিস্তানের হাইকোর্ট নওয়াজকে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন। সংবিধানের ৬২ ধারা অনুযায়ী ওই রায়ের পর পদত্যাগ করেন নওয়াজ। তবে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারালেও পার্লামেন্টে তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজ (পিএমএল-এন) সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় একটি আইন সংশোধনের মাধ্যমে পিএমএল-এন এর নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ।

কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে সব সরকারি কাগজপত্র থেকে পিএমএল-এন এর প্রেসিডেন্ট হিসাবে নওয়াজ শরিফের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়। সাত দিনের মধ্যে নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরিফকে পিএমএল-এন এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাচিত করা হয়। পাশাপাশি নওয়াজকে দলের ‘আজীবন নেতা’ ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে কোনো পদে না থেকেও পিএমএল-এন এর লাগাম নিজের হাতে রেখে দেন নওয়াজ।

পাকিস্তান সংবিধানের ধারা ৬২(১) অনুযায়ী, দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পূর্ব শর্ত হলো ব্যক্তিকে ‘সাদিক ও আমিন’ (সৎ ও ন্যায়নিষ্ঠ) হতে হবে। একই ধারায় ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা জাহাঙ্গির তারিনকে অযোগ্য ঘোষণা করে পাকিস্তান হাইকোর্ট।

শুক্রবারের এই রায়ের কারণে নওয়াজ এবং পিটিআই নেতা জাহাঙ্গির আর কখনও কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।