বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৫ মে ২০১৮

কোটা আন্দোলনকে বাড়াবাড়ি বললেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংরক্ষিত ছবি


সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও আল্টিমেটামে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই মনোভাব মন্ত্রীদেরও। তারাও বলেন এটি বাড়াবাড়ি। এ ছাড়া মন্ত্রিসভার অনির্ধারিত আলোচনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর সফল উৎক্ষেপণ নিয়ে উল্টাপাল্টা বক্তব্য দেওয়ায় নাগরিক কমিটির নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী বাংলাদেশের খবরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তাতে অনির্ধারিত বিষয়ে প্রায় এক ঘণ্টা আলোচনা হয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রমুখ এ নিয়ে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটা বাতিলের বিষয়ে আমি ঘোষণা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি সাংবিধানিক বিষয়গুলোসহ সব কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে। কিন্তু তার আগেই ছাত্রছাত্রীরা আল্টিমেটাম দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ল। আমরা তো কাজ করছি। এমনটা তো নয় যে, আমরা কাজ করছি না।  বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী জানান, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের আল্টিমেটামে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ। আন্দোলনকারীদের অবস্থানে শাহবাগ অচল- এ প্রসঙ্গ আলোচনায় ওঠার পর প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সময় একজন মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা বলছে, প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাস করবে না। এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্লাস না করলে না করবে, এতে তাদেরই ক্ষতি। আমি তো বলেছি, হবে। সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কিছু সময় লাগে। এরপরও তারা থ্রেট দেয়। এটা সম্পূর্ণ বাড়াবাড়ি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন মন্ত্রী বলেন, আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, কোনো কোনো মহল কোটার বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা দ্রুত করা যায় কি-না সে বিষয়ে একটু ভাবেন। কারণ, এর সমাধানের বিষয়টি তো আপনিই দিয়েছেন।

কোটা সম্পর্কে আলোচনার পর বৈঠকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মাহমুদুর রহমান মান্না ও বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, সমালোচনা করছে করুক। কিন্তু না জেনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে কেন? এ স্যাটেলাইটের মালিকানা সরকার ছাড়া অন্য কারো হওয়ার সুযোগ নেই। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচারের জন্য বাইরে টাকা দিতে হতো। এতে প্রচুর পয়সা খরচ হতো। এখন সে টাকা সাশ্রয় হবে। বিএনপি নেতারা টেকনিক্যাল বিষয়গুলো না বুঝে আন্দাজে কথা বলছেন।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১