খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বার্তা দিয়েছেন তা বুঝতে না পারলে বিপদ আছে বলে আশঙ্কা করছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণসভায় তিনি এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে একটা বার্তা দিয়েছেন। এটা বুঝতে পারলে ভালো, না বুঝতে পারলে বিপদ আছে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, খুলনার নির্বাচন তিনি নিজে মনিটরিং করেছেন। তার ভাই শেখ হেলালও মনিটরিং করেছেন। সত্য বলেছেন। তার মানে ইসির ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের একনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তদবির ও তোষামোদ করে পদ পাওয়া যায়, কিন্তু জনগণের সালাম পাওয়া যায় না। সুতরাং কাজে নেমে পড়ুন। কাজ করলে সালাম পাওয়া যাবে, তাতে পদ লাগবে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন- জেলে ছিলাম, ভালোই ছিলাম। কারণ বের হয়েও তেমন কিছু করতে পারছি না। ভয়ের কারণে আমরা কথা বলি না।

বিএনপির সাবেক নেতা এম শামসুল ইসলাম ও ২০-দলীয় জোটের শরিক জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের স্মরণে এই সভা হয়। আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহিদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, জাতীয় পার্টির (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

সভায় ভারতের সমালোচনা করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। তাই বলে খবরদারি কেন করবে? আমাদের দেশের সরকারপ্রধান কে হবেন তা পছন্দ করবে জনগণ। ভারতের সরকার তো সে দেশের জনগণ পছন্দ করে। সেটা তো শেখ হাসিনা পছন্দ করে দেন না। তাই ভারতকে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে, তারা তাদের নীতি পরিবর্তন করবে কি না।

দেশে পরিবর্তন হবেই- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সেই পরিবর্তনে আমাদের ভূমিকা কতটুকু থাকবে সেটাই বিষয়। কিন্তু পরিবর্তন হবেই। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একটা যৌক্তিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন গয়েশ্বর।