জাতীয় নির্বাচনের আগে নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আবদুল্লাহপুরে মহানগর উত্তর বিকল্পধারার আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

বি চৌধুরী বলেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বাধা দূর করার জন্য প্রথমে প্রয়োজন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। এজন্য নির্বাচনকালীন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি সরকার এবং প্রমাণিত নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার। জাতীয় সংসদ ভেঙে দিতে হবে, যাতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে না পারেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, মাদক এবং অন্য অজুহাতে কারা নিহত হচ্ছেন তা জানি না। যদি নানা অজুহাতে রাজনৈতিক কর্মীদের হত্যা ও জেলে আটক রাখা হয় এবং বিশেষ গোষ্ঠীর কর্মীদের হাতে ময়দান ছেড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সেটা নির্বাচনের সমতল ক্ষেত্র হবে না। উচ্চ আদালতের রায় উপেক্ষা করে খালেদা জিয়াকে ঠুনকো অজুহাতে আটকে রাখা ঔপনিবেশিক মানসিকতা অর্থাৎ ‘বিরোধী দলনে’র স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ যদি শান্তি রক্ষার খাতিরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে পারেন শুধু তা হলেই এই আশঙ্কাজনক ভবিষ্যতের সম্ভাব্য চিত্র বদলে যেতে পারে। এই তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি যদি জনগণের সমর্থনে উঠে আসতে পারে, তা হলে বিবদমান দুটি দলকে দারুণভাবে প্রভাবিত করতে পারবে। আমরা একটি সুন্দর স্থায়ী সমাধানের পক্ষে কাজ করতে চাই। কোনো দলের বিরুদ্ধে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করি না এবং সব রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে একই আচরণ প্রত্যাশা করি।

সভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমরা মাদকের বিরোধী কিন্তু বিনাবিচারে হত্যা সমর্থন করি না। খুলনার নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। গাজীপুরে এমন কিছু করার চেষ্টা করলে যুদ্ধ বেঁধে  যাবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মাদকের নামে বিনা বিচারে ৫৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যারা হত্যা করেছে তাদেরও বিচার হবে। তিনি রোজার পর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে বিএনপিকে রাজপথের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিকল্পধারার সভাপতি মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের কার্যকরি সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান প্রমুখ।