বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৩ জুন ২০১৮

আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত বিএনপির সিদ্ধান্ত হয়নি

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ভবন সংরক্ষিত ছবি


নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্য থেকে প্রার্থীও প্রায় চূড়ান্ত করেছে বিভিন্ন দল। ইতোমধ্যেই প্রচারণায় নেমেছেন মেয়র ও কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আনুষ্ঠানিক প্রচারণার তারিখের আগেই নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে রাজশাহী নগরীতে।

চলতি বছরের প্রথম থেকে নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হলেও গত ২৯ মে নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। আওয়ামী লীগ অনেক আগেই মেয়র প্রার্থী মনোনীত করেছে। প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে লড়বেন দলটির রাজশাহী মহানগর সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান। জাতীয় পার্টির হয়ে লড়বেন জাতীয় যুব সংহতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ওয়াশিউর রহমান দোলন। সিপিবির পক্ষ থেকে দলটির জেলার সাধারণ সম্পাদক রাগীব আহসান মুন্নাকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। প্রার্থী চূড়ান্ত না হলেও বর্তমান মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বিএনপির মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে দলের মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ সিদ্দিক হোসেনকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছে জামায়াত।

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন অনেক আগে থেকেই নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন ও শরিক দলের নেতারাও রয়েছেন তার পাশে। প্রতিদিন সভা-সেমিনারের মাধ্যমে লিটনের পক্ষে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। গত মঙ্গলবার রাত থেকে লিটনের ছবিসহ পোস্টার, ব্যানার নগরীর আনাচে-কানাচে সাঁটা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ইফতারেও লিটনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

অন্য রাজনৈতিক দলগুলো ধীরে ধীরে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলেও এ থেকে বেশ দূরে আছে বিএনপি। এখনো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দলটির প্রচারণা কার্যক্রম থমকে আছে। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাসিকের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে বুলবুল জানান, পরিবেশ সৃষ্টি না হলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না। এর আগে নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, রাসিক নির্বাচনে তিনি বলির পাঁঠা হতে চান না।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১