আপডেট : ২১ জুন ২০১৮
রুপির মান কমে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে ভারতীয় সুতার চাহিদা। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহে দেশটিতে সুতার দাম বেড়েছে ১০ শতাংশের বেশি। অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। এতে চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে তুলার পাশাপাশি সুতা আমদানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে দেশটি। গত মঙ্গলবার ভারতের ফিউচার মার্কেটে প্রতিকেজি সুতা বিক্রি হয় ২৪০ রুপিতে। চলতি মাসের শুরুতে এ পরিমাণ সুতার দাম ছিল ২১৫-২১৮ রুপি। এ সময় ডলারের বিপরীতে রুপির মান কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। এ ছাড়া গত কয়েক মাসে রুপির মান কমেছে ৫ শতাংশের মতো। প্রতি বছরই গ্রীষ্মকালীন মৌসুম শুরুর পর প্রথম ৫ মাস তুলায় তৈরি সুতার চাহিদায় মন্দা থাকে। এ মন্দার সময় সুতার তাৎক্ষণিক দরবৃদ্ধিতে এখন কিছুটা চাঙা ভারতের স্পিনিং খাত। রাজকোটভিত্তিক সুতা উৎপাদক অ্যাঞ্জেল ফাইবার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অশোক প্যাটেল বলেন, চীন, বাংলাদেশের মতো আমদানিকারক দেশগুলোয় পণ্যটির চাহিদা আকস্মিক বেড়েছে। পাশাপাশি রুপির অবনমনও সুতার বাজার চাঙা করতে সহায়তা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক আরোপের পর প্রয়োজন মেটাতে ৫ লাখ বেল (প্রতি বেল ১৭০ কেজি) তুলা আমদানির জন্য ভারতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চীন। এখন এ দুই দেশের মধ্যে তুলা আমদানি বিষয়ক চুক্তি নিয়মিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনে বার্ষিক সাড়ে ৪ লাখ বেল তুলার চাহিদা থাকলেও দেশটি প্রায় ৩ কোটি ২০ লাখ বেল উৎপাদনে সক্ষম। গত বছর দেশটিতে ১০ লাখ বেলের মতো তুলা রফতানি করেছে ভারত। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হতে যাওয়া মৌসুমে ভারতের তুলা রফতানি ২১ শতাংশ বেড়ে ৭০ লাখ বেলে ঠেকবে বলে জানান প্যাটেল। গত মৌসুমে ৫৮ লাখ বেল তুলা রফতানি করেছিল দেশটি। চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে ভারতে প্রতি কুইন্টাল শঙ্কর-৬ জাতের তুলার দাম সাড়ে ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১৬০ রুপি। আগে এ দর ছিল ১২ হাজার ৩৭৩ রুপি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১