বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৪ জুন ২০১৮

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন

জলবায়ু খাতে ছয় সংস্থার অর্থায়ন এক বছরে বেড়েছে ৩০ শতাংশ

তিন বছরে বাংলাদেশ পেয়েছে ২৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার 

জলবায়ু খাতে বাংলাদেশ তিন বছরে ছয় সংস্থা থেকে ২৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে। এই অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে প্রাকৃতিক দুযোগের কারণে সৃষ্ট দূষণ নির্গমন প্রতিরোধে। বন্যা নিমজ্জিত এলাকায় দূষিত পানিতে মাছ ধরছে এক শিশু ছবি : সংগৃহীত


জলবায়ু খাতে বহুজাতিক দাতা ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে। ২০১৭ সালে বিশ্বের বড় ছয় উন্নয়ন সংস্থা আগের বছরের চেয়ে অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। গত বছর এ খাতে ৩ হাজার ৫২০ কোটি ডলার ছাড় করেছে সংস্থাগুলো। আগের বছর এ খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার। সাত বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে জলবায়ু খাতে সর্বোচ্চ অর্থছাড় করা হয়েছে। এ ছয় সংস্থার যৌথ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এসব সংস্থা থেকে তিন বছরে বাংলাদেশ জলবায়ু খাতে ২৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার পেয়েছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে মোট বরাদ্দের ৭৯ শতাংশ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে জলবায়ু প্রশমনে। এর মোট পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৭৯০ কোটি ডলার। ক্ষতিকর দূষণ নির্গমন প্রতিরোধে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোতে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর ফলে বৈশ্বিক তাপ বৃদ্ধির প্রবণতা কমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অবশিষ্ট ৭৪০ কোটি ডলার উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু অভিযোনে নেওয়া প্রকল্পে অর্থায়ন করা হয়েছে। এ অর্থ জলবায়ু খাতে মোট বরাদ্দের প্রায় ২১ শতাংশ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।

সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর ওয়াশিংটন থেকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ছাড়াও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), আফ্রিকান উন্নয়ন ব্যাংক, ইউরোপের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন ব্যাংক, ইউরোপীয় বিনিয়োগ ব্যাংক ও আন্তঃআমেরিকান উন্নয়ন ব্যাংকের জলবায়ু অর্থায়নের হিসাব এসেছে প্রতিবেদনটিতে। এ ছয়টি ব্যাংক বহুজাতিক অর্থায়নের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে সংস্থাটির জোটে যোগ দিয়েছে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি)। আগামী বছরের প্রতিবেদনে এ সংস্থাটির জলবায়ু অর্থায়নের হিসাবও দেওয়া হবে।

প্রতিবেদনটিতে বিশ্বব্যাংকের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক জন রোম বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে ২০১৭ সাল ছিল রেকর্ডের বছর। এ খাতে আগের কয়েক বছরের ব্যাপক প্রস্তুতির সুবাদে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু অর্থায়নে গতি আনতে বহুজাতিক সংস্থাগুলো প্রধান ভূমিকা রাখছে। গত বছর বিশ্বব্যাংক একাই জলবায়ু খাতে ৮৬০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। এ খাতে সংস্থাটির ব্যয় আগের বছরের চেয়ে ২০১৭ সালে বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

প্রতিবেদনে গত কয়েক বছরে ছয় সংস্থা থেকে সহায়তা পাওয়া দেশগুলোর একটি তালিকা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে ছয় সংস্থা থেকে জলবায়ু খাতে ৮৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আগের বছর এর পরিমাণ ছিল ১৩১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এক বছরে বাংলাদেশ জলবায়ু খাতে ৪১ কোটি ৬০ লাখ ডলার বাড়তি সংগ্রহ করেছে। এক বছরে এ খাতে সহায়তা বেড়েছে ৪৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।

গত তিন বছরে বাংলাদেশ জলবায়ু খাতে ছয় সংস্থা থেকে ২৪১ কোটি ৪০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ খাতে ৭৬৪ কোটি ২০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। একই সময় শ্রীলঙ্কা ৮৭ কোটি ডলার, পাকিস্তান ২৮৫ কোটি ১০ লাখ ডলার, নেপাল ৮৮ কোটি ২০ লাখ ডলার, ভুটান ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার, মালদ্বীপ ৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার সংগ্রহ করেছে জলবায়ু খাতে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১