বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৯ জুলাই ২০১৮

কোটা আন্দোলন নেতা রাশেদ ১০ দিনের রিমান্ডে

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খান সংরক্ষিত ছবি


কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এ আদেশ দেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় তাকে ৫ দিন করে মোট ১০ দিন রিমান্ডে পাচ্ছে পুলিশ। 

রাশেদ খান সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে তাকে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা ও ভিসির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় হাজির করে ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক দুই মামলায় ৫ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে গত ২ জুলাই রাশেদকে ৫ দিনের রিমান্ড দেন ঢাকার সিএমএম আদালত।

গত ১ জুলাই শাহবাগ থানায় মুহাম্মদ রাশেদ খানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়। মামলার নথিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের  ঘোষণা দেন, যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন। গত ১ জুলাই রোববার রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনের ভাষানটেক বাজারের মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদ খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে গত ৩১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলনে বাধা দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। এতে ১০ জনের মতো আহত হন। আহতরা অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ অধিকার ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে ‘সংবাদ সম্মেলনে বাধা ও হামলা’র প্রতিবাদে আজ থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং সারা দেশে বিক্ষোভ অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ এপ্রিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। আন্দোলনকারীরা এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ মিছিলও করেন। কিন্তু সেই প্রজ্ঞাপন এখনো জারি হয়নি।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১