বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০১৮

রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভাঙছে উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়া সোহায়ে রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভাঙার কাজ শুরু করেছে সংরক্ষিত ছবি


প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উত্তর কোরিয়া সোহায়ে রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভাঙার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা থার্টি এইট নর্থ। উপগ্রহের ছবি বিশ্লেষণ করে গত সোমবার সংস্থাটি এ কথা জানায়। এ ছাড়া উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের মূল কাঠামো ভেঙে দেওয়ার কয়েকটি নতুন ছবি প্রকাশ করেছে তারা। খবর বিবিসি। 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের মধ্যে ১২ জুনে হওয়া ঐতিহাসিক বৈঠকের ধারাবাহিকতায় এ রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি ভাঙা হচ্ছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। সিঙ্গাপুরের বৈঠকে কিম একটি রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষা কেন্দ্র ধ্বংসের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলে ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন। তবে ঠিক কোন কেন্দ্রটি ভেঙে ফেলা হবে, তা নিশ্চিত করেননি।

দেশটির উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত সোহায়ে কেন্দ্রটিকে পিয়ংইয়ং উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কাজে ব্যবহার করত। এটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায়ও ব্যবহূত হতো বলে সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্রের। সন্তোসা দ্বীপের  বৈঠকে দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার সমঝোতায় স্বাক্ষর করলেও কখন এবং কীভাবে নিরস্ত্রীকরণ হবে সে সম্বন্ধে বিস্তারিত উল্লেখ ছিল না। এ কারণে সিঙ্গাপুরের বৈঠকের ফল নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পিয়ংইয়ং আদৌ আগ্রহী কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের মধ্যেই সোহায়ে উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভাঙার খবর এলো।

এর আগে সোমবার টুইটারে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি এবং গত নয় মাসে দেশটি কোনো পারমাণবিক পরীক্ষা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র না ছোড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে কোনো সময়সীমা নেই এবং এজন্য পিয়ংইয়ংয়ের তাড়াহুড়ার দরকার পড়ছে না বলেও গত সপ্তাহে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা মনে করছে, পুঙ্গি রি পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ভেঙে ফেললেও পিয়ংইয়ং গোপনে অস্ত্র কর্মসূচি সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রেখেছে। 

ফাঁস হওয়া এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইয়ংবিয়নের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রটির সক্ষমতা বাড়াচ্ছে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য গোপন কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর কাজ চলছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের এ গোয়েন্দা প্রতিবেদন সঠিক কি না, তা নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পশ্চিমা অনেক পর্যবেক্ষক এ ধারণার সঙ্গে একমত।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১