বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৮

প্রাকৃতিক উৎসের মাছে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়

ষাটের দশকে দেশে মোট প্লাবনভূমির পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৩ লাখ হেক্টর সংরক্ষিত ছবি


প্রাকৃতিক উৎস থেকে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ সম্প্রতি বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা এফএও’র ৯ জুলাই প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চীন ও ভারত যথাক্রমে এক ও দুই নম্বরে আছে। দুই বছর আগে প্রাকৃতিক উৎসের মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল পঞ্চম। এবার বড় ধরনের অগ্রগতির পেছনে মূল অবদান ছিল ইলিশের। দ্য স্টেট অব ফিশ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার-২০১৮ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, চাষের ও প্রাকৃতিক উৎসের মাছ মিলিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন চতুর্থ। চার বছর ধরে বাংলাদেশ এই অবস্থানটি ধরে রেখেছে। আর শুধু চাষের মাছের হিসাবে বাংলাদেশ পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে।

উৎস বিবেচনায় বা নির্দিষ্ট আবাসস্থলে অভিযোজিত হওয়ার কারণে মাছকে স্বাদুপানির, স্বল্প লোনাপানির, সামুদ্রিক ও পরিযায়ী ইত্যাদি বাস্তুসংস্থানিক দলে ভাগ করা হয়েছে। স্বাদুপানির মাছ সর্বদাই স্বাদু পানিতে বাস করে। স্বল্প লোনাপানির মাছ সমুদ্রের স্বল্প লবণাক্ত অঞ্চল ও নদীর মোহনায় বাস করে। সামুদ্রিক মাছ সমুদ্রের পানিতে থাকলেও মহাসাগরের উন্মুক্ত জলরাশির পৃষ্ঠভাগে বা উপকূলীয় লোনাপানিতে বসবাস করতে পারে। পরিযায়ী মাছ প্রজননের জন্য সমুদ্রের লোনাপানি থেকে স্বাদুপানিতে (যেমন- ইলিশ) অথবা স্বাদুপানি থেকে সমুদ্রের লোনা পানিতে যায় (যেমন- বাইম)।

ষাটের দশকে দেশে মোট প্লাবনভূমির পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৩ লাখ হেক্টর। ১৯৮৫ সালে তা হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৫৪ লাখ হেক্টরে এবং ২০০৮ সালে তা আরো হ্রাস পেয়ে দাঁড়ায় মাত্র ২৮ লাখ হেক্টরে। জলজ আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাছের উৎপাদনও কমে আসে। নদী, প্লাবনভূমি, বিল এবং হাওর ছাড়াও বাঁওড় নামের অনেক জলাশয় রয়েছে বিশেষত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের যশোর ও খুলনা জেলায়। মূল নদী থেকে নদীর বাঁক বিচ্ছিন্ন হয়ে সৃষ্ট পৃথক জলাশয় বাঁওড়ে পরিণত হয়। এক বিশাল জলাশয় কাপ্তাই হ্রদের আয়তন প্রায় ৬৮,৮০০ হেক্টর। দেশে মানুষের তৈরি এটিই স্বাদুপানির বৃহত্তম জলাধার, যা মুক্ত পানিব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত নয়। এ ছাড়া রয়েছে অসংখ্য পুকুর, যার মোট জলভাগের আয়তন প্রায় ৩,০৫,০২৫ হেক্টর। পুকুরগুলো ছোট (০.০১ হেক্টরের কম), মাঝারি (০.১-০.৬ হেক্টর) ও বড় (০.৬ হেক্টরের অধিক)—এই তিন শ্রেণিতে বিভক্ত। বঙ্গোপসাগরে তিনটি বৃহৎ মৎস্য আহরণ অঞ্চলের সন্ধান পাওয়া গেছে : ১. দক্ষিণাঞ্চল (৬২০০ বর্গকিমি), ২. মধ্যাঞ্চল (৪,৬০০ বর্গকিমি) এবং ৩. সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড (৩,৮০০ বর্গকিমি)। এই তিনটি মৎস্য আহরণ অঞ্চলের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল অধিক উৎপাদনশীল।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১