বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৮

মৎস্য আইন

যন্ত্রচালিত নয়, এমন নৌকাগুলোও ১৯৯৫ সাল থেকে লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করা হয়েছে সংরক্ষিত ছবি


১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর মৎস্য অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। তখন মৎস্য অধিদফতর শুধু মাছ বাজারজাতকরণ ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণসাধনের বিষয়গুলো তদারক করত। এরপর থেকে অধিদফতর অন্যান্য বিষয়, যেমন- মৎস্য সংরক্ষণ, মাছ ধরার সময়কাল নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিবেচনায় আনতে শুরু করে এবং বেশ কিছু আইন প্রণয়ন করে, যা মৎস্য খাতের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। উল্লেখ্য, বিশেষ বিশেষ মৎস্যপ্রজাতির পোনা ও রেণু সংরক্ষণ এবং কতিপয় মাছ শিকার কার্যক্রম সীমিত করার জন্য ১৯৫০ সালে প্রাদেশিক আইন সভায় পূর্ব বাংলা মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষণ আইন (East Bengal Protection and Conservation of Fish Act) পাস করা হয়। এখন পর্যন্ত বলবৎ এই আইনে মৎস্যসম্পদের সংরক্ষণ নিশ্চিতকরণে আইন ও প্রবিধান প্রণয়নে সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ১৯৬৩, ১৯৭০, ১৯৮২ ও ১৯৮৫-১৯৮৮ সালে এ আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।

সামুদ্রিক মৎস্য অধ্যাদেশ ১৯৮৩ : অধ্যাদেশটি সাধারণত সামুদ্রিক মৎস্য আইন ১৯৮৩ নামে পরিচিত, যা ১৯৯২ সালে সংশোধিত হয়েছে। আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে— চট্টগ্রামে কর্মরত একজন পরিচালক সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ জরিপ, সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য আইন প্রয়োগ ও লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদির দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন; প্রতিটি মাছ ধরার ট্রলার ও যন্ত্রচালিত নৌকার জন্য প্রতিবছর (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) মাছ ধরার লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক, যা নির্দিষ্ট মাসুল (টাকা ২০০-১৮০০) দিয়ে সংগ্রহ করা যাবে। যন্ত্রচালিত নয়, এমন নৌকাগুলোও ১৯৯৫ সাল থেকে লাইসেন্সের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

জলাধার উন্নয়ন আইন ১৯৩৯ : সাধারণভাবে পুকুর উন্নয়ন আইন ১৯৩৯ নামে পরিচিত এই আইনটি ১৯৮৬ সালে সংশোধন করা হয়। এই আইনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যেকোনো পতিত পুকুরের মালিককে যথাযথভাবে নোটিশ ও সময় দিয়ে পুকুরটিকে মাছচাষের আওতায় আনতে পারবেন।

মৎস্য ও মৎস্যজাত দ্রব্য (পরিদর্শন ও মাননিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮৩ : সাধারণভাবে মাছের মাননিয়ন্ত্রণ বিধি, ১৯৮৩ নামে পরিচিত এ আইনটি ১৯৮৯ সালে সংশোধিত হয়। অধ্যাদেশের প্রধান দিকগুলো হচ্ছে—নির্ধারিত মাসুল প্রদান করে ২৫টি শর্তপূরণকারী প্রসেসিং কারখানায় সদ্য ধরা মাছ ও চিংড়ি প্রক্রিয়াকরণ করা যেতে পারে; প্রসেসিংয়ের সময় মানবিনষ্টকারী উপাদান ব্যবহার নিষিদ্ধ; সরকারের নিকট থেকে পণ্যের গুণগত প্রত্যয়নপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষেই কেবল সেগুলো রফতানি করা যাবে।

চিংড়িচাষ কর আইন ১৯৯২ : সরকার এই আইনের ক্ষমতাবলে চিংড়িচাষের এলাকায় বেড়িবাঁধ ও পানি নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নির্মাণ এবং খাল কাটার সুবিধা ভোগকারীদের ওপর করারোপ করতে পারে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১