বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০১৮

আসামে প্রকাশিত হচ্ছে চূড়ান্ত খসড়া নাগরিকপঞ্জি

দেড় কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন আসামের সংগৃহীত ছবি


ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন আসামের দেড় কোটিরও বেশি মানুষ। রাজ্য সরকারের পক্ষে ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব সিটিজেনস (এনআরসি) চূড়ান্ত খসড়া নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করবে আজ সোমবার। যথাযথ নথিপত্র জমা দেওয়ার পরও নাগরিকত্ব তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

আসাম সরকারের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, অবৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোই এই নাগরিকত্ব নিবন্ধন কার্যক্রমের লক্ষ্য। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে সেখানে পাড়ি জমিয়েছে। ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত ‌যারা তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হাজির করতে পারবেন তারাই তালিকায় স্থান পাবেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, প্রথম দফায় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেওয়ার পরও তাদের নাম তালিকায় রাখা হয়নি। এ ছাড়া স্থানীয়দের অনেকের অভিযোগ, মুসলিমদের দেশত্যাগে বাধ্য করতেই এই নাগরিকপঞ্জি তৈরি করা হচ্ছে।

রাজ্য সরকার বলছে, আসামে ১৯৫১ সালের জরিপের পর জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রথম প্রস্তুত করা হয়। ওই বছরের তালিকায় যাদের নাম ছিল তারা এবং তাদের উত্তরসূরিদের এবারের চূড়ান্ত খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়ার আশঙ্কা নেই। অথবা ১ জুলাই ১৯৬৬ থেকে ২৫ মার্চ ১৯৭১ পর্যন্ত যারা ভারতীয় নাগরিক হিসেবে নিবন্ধন করেছেন তাদের বংশধররা এবারের এনআরসিতে ঠাঁই পাবেন। এবারে আবেদন করেছেন প্রায় ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষ। এর আগে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি  প্রথম দফায় এক কোটি ৯০ লাখ লোককে ভারতীয় নাগরিকত্ব দিয়ে এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই মাসের শুরুতে কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়ে প্রায় দেড় লাখ লোকের নাগরিকত্ব বাতিল করে। তাদের মধ্যে ৫০ হাজার গ্রামীণ নারী রয়েছেন। তারা শুরুতে আবেদনপত্রের সঙ্গে পঞ্চায়েতের কাছ থেকে প্রাপ্ত ‘নাগরিকত্ব সনদ’ কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এনআরসি থেকে তাদের বৈবাহিক ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ চাওয়া হয়; যা তাদের নেই।

এদিকে, নাগরিকত্বের দ্বিতীয় দফার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশকে কেন্দ্র করে আসামের সীমান্তলাগোয়া মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ ও মনিপুর রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আধা-সামরিক বাহিনীর ২২ হাজার সদস্য আসাম এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোয় মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে নরেন্দ্র মোদি নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের অঙ্গীকার করেছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর ২০১৬ সালে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার নাগরিকত্ব সংশোধন বিল-২০১৬ সালে পাস করে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১