রাজধানীর জিগাতলায় চার শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যা ও চার ছাত্রীকে ধর্ষণের খবর ‘গুজব’ বলে জানালেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই। শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় সরেজমিনে ঘুরে এসে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানায়।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন ধানমন্ডি আইডিয়ালের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান তূর্য, নিউ পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী রোহান ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান অপু।

শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি আন্দোলনরত এই তিন শিক্ষার্থীকে আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে যান। সেখানে পুলিশের সঙ্গে পুরো আ.লীগ কার্যালয় ঘুরে দেখেন। তারপর সেখানেই সংবাদ সম্মেলন করেন ওই শিক্ষার্থীরা।

এসময় ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী কাজী আশিকুর রহমান তূর্য বলেন, ‘দুপুরে নামাজের পর হঠাৎ কিছু লোক এসে হঠাৎ বলে, আমাদের চারজন বোনকে আর কজন ছেলেকে আওয়ামী লীগ অফিসে আটকে রাখা হয়েছে। পরে আমাদের একটি অংশ আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে চলে আসে।

‘কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে এসে দেখলাম, এমন কিছু ঘটেনি।’

পরে সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে বের হয়ে জিগাতলা বিজিবির-২ গেটে এসে আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তূর্য বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মেরে ফেলা ও আটকে রাখার যে তথ্য আমরা পেয়েছিলাম, তা গুজব। আপনারা কেউ গুজবে কান দেবেন না।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানি বলেন, ‘কোনও শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলা ও চার জনকে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেনি। গুজব ছড়িয়ে একটি মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাইছে।’