বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০১৮

কবরের শান্তি ও শাস্তির বিধান সত্য

তাদের একজনের নাম মুনকির ও ওপরজনের নাম নাকির সংরক্ষিত ছবি


কবর জগতের প্রতি ঈমান রাখার পাশাপাশি কবরের শান্তি ও শাস্তির ওপরও ঈমান আনতে হবে বা বিশ্বাস করতে হবে। কারণ কবর জীবনের কথা যেমন সত্য, কবরের শান্তি ও শাস্তির কথাও সত্য। কবর হবে মুমিনের জন্য শান্তির ঠিকানা আর কাফের-মুশরিক-মুনাফেকের জন্য শাস্তির আখড়া। ইমাম নববী (র.) সহিহ মুসলিমের ব্যাখ্যাগ্রন্থে লিখেছেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আকিদা হলো— কবরের শান্তি ও শাস্তির সত্যতার প্রতি বিশ্বাস রাখা আবশ্যক।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রসুল (সা.) বলেছেন, মৃত ব্যক্তিকে কবরে সমাহিত করার পর দুজন ফেরেশতা আসেন। তাদের একজনের নাম মুনকির ও ওপরজনের নাম নাকির। তারা জিজ্ঞেস করেন, তুমি ওই ব্যক্তি সম্পর্কে দুনিয়ায় কী বলতে, যাকে তোমাদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল? মৃত ব্যক্তি মুমিন হলে প্রত্যুত্তরে বলেন, ইনি হচ্ছেন আল্লাহতায়ালার বান্দা ও তাঁর রসুল। এ কথা শুনে ফেরেশতাদ্বয় বলেন, আমি জানি তুমি এভাবেই উত্তর দেবে। এরপর তার কবরকে সত্তর গজ প্রশস্ত ও নুরানি আলোয় আলোকিত করা হয়। আর তাকে বলা হয়, তুমি এখন শান্তিতে ঘুমাও। সুতরাং মুমিন ব্যক্তি তখন কবরে খুব প্রশান্তিতে অবস্থান করতে থাকেন। অবশেষে আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন তাকে উত্থিত করবেন। আর যদি মৃত ব্যক্তি কাফের-মুশরিক-মুনাফেক হয়, তাহলে প্রশ্নের উত্তরে বলে, মানুষকে এই ব্যক্তি সম্পর্কে যা বলতে শুনেছি আমি ওটাই বলতাম। এর বেশি কিছু আমি জানি না। তখন ফেরেশতাদ্বয় বলবেন, আমরাও ভালোভাবে জানি যে, তুমি এভাবেই জবাব দেবে। এরপর মাটিকে বলা হয়, তুমি একে খুব জোরে চাপ দিয়ে শাস্তি দাও। মাটি তখন তাকে এমন জোরে চাপ দেবে, তার পাঁজরের একদিকের হাড় অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যাবে। এরপর আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন তাকে উত্থিত না করা পর্যন্ত সর্বদা শাস্তির মধ্যে নিপতিত থাকবে। (তিরমিজি, মেশকাত)।

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, একদা এক ইহুদি নারী তার কাছে এসে কবরের আজাবের কথা উল্লখ করলে তিনি বলেন, আল্লাহ তোমাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করুন। এরপর তিনি কবরের আজাব সম্পর্কে রসুলকে (সা.) জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, হ্যাঁ, কবরের আজাব সত্য। (বোখারি)।

রসুল (সা.) ও সাহাবিদের থেকে প্রাপ্ত বাণী অনুপাতে সাব্যস্ত বিষয় হলো— কবর হয়তো জান্নাতের বাগিচা হবে নয়তো জাহান্নামের গুহা হবে। (শরহে আকিদা তাহাবিয়া)। আল্লামা ইবনুল কাইয়্যেম (র.) কবরের শাস্তি বা শান্তি সম্পর্কে বলেন, নিশ্চয় কবরের আজাবই হচ্ছে বারযাখের আজাব। মৃত্যুর পর যদি কেউ আজাবের উপযুক্ত হয়, তবে সে তার অংশ পাবে। চাই তাকে কবর দাফন করা হোক বা না হোক। (আর রুহ)।

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১