বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০১৮

পুণ্যলাভের উৎসব ঈদুল আজহা

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হচ্ছে আমাদের ঈদ বা আনন্দের দিন সংগৃহীত ছবি


হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান ত্যাগের স্মৃতি ও শিক্ষা নিয়ে আসে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা যথাযোগ্য মর্যাদায় সম্পন্ন করার মধ্যে রয়েছে মানুষের পুণ্যলাভের সুযোগ। প্রিয় নবী (সা.) যখন মাতৃভূমি মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজরত করেন, তখন থেকেই ইসলামে ঈদের সূচনা হয়। প্রতি চান্দ্র বছরের জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, সব জাতির ঈদ বা আনন্দ আছে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা হচ্ছে আমাদের ঈদ বা আনন্দের দিন। ঈদ আরবি শব্দ। এর অর্থ বার বার প্রত্যাবর্তন করা। প্রতিবছর নিয়মিতভাবে এই ঈদ দুবার আসে। তাই এর নামকরণ হয়েছে ঈদ। কারো কারো মতে, এ দুদিনে আল্লাহ তাঁর রহমতের দৃষ্টি বান্দার দিকে বার বার দৃষ্টিপাত করেন বলে এর নাম ঈদ।

মদিনায় হিজরতের পর দয়াল নবী (সা.) লক্ষ করলেন মদিনাবাসী বছরের দুটি নির্দিষ্ট দিনে আমোদ-প্রমোদে মেতে ওঠে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করেন, এই বিশেষ দিনে তোমাদের আনন্দ-উল্লাসের কারণ কী? মদিনার নও-মুসলিমরা বলেন, আমরা জাহেলি যুগে দুটি দিনকে এভাবে পালন করতাম। হুজুরে পাক (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা তোমাদের ওই উৎসবের পরিবর্তে আরো উৎকৃষ্ট দুটি দিন তোমাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ দুটি দিন হচ্ছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (আবু দাউদ শরিফ)। নবী করিম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি উভয় ঈদের রাতে সওয়াবের নিয়তে এবাদত করে, তার অন্তর সেদিনও মরবে না- যেদিন অন্য লোকদের অন্তর মৃত হবে (তারগিব)। অন্য এক হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ১০ জিলহজের ঈদুল আজহার দিন কোরবানি দেওয়ার চাইতে আর কোনো আমল আল্লাহর কাছে এত অধিক প্রিয় নয়। রোজ কিয়ামতে কোরবানিদাতা সেই জন্তুর লোম, শিং, খুর নিয়ে হাজির হবে। এগুলো তার জন্য বড় ধরনের সওয়াবের কারণ হবে। কোরবানির রক্ত মাটিতে পড়ার আগেই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। অতএব তোমরা আনন্দের সঙ্গে কোরবানি কর (বুখারি শরিফ)। রসুলে মকবুল (সা.) ঈদের দিন সুন্দর ও উত্তম পোশাক পরিধান করতেন। তিনি কখনো কখনো সবুজ ও লাল ডোরাবিশিষ্ট চাদর পরিধান করতেন। ইয়ামানে নির্মিত চাদরকে ‘বুরদে ইয়ামানি’ বলা হতো। হুজুর (সা.) ঈদে এ পোশাক পরিধান করতেন। ঈদের জন্য বৈধ পোশাক দ্বারা সাজসজ্জা করা মোস্তাহাব। ঈদের নামাজের আগে গোসল করা সুন্নত। উভয় ঈদের দিন সকালে গোসল করা রসুল (সা.)-এর অভ্যাস ছিল। ঈদুল আজহার নামাজ রসুলে খোদা (সা.) সকাল সকাল পড়তেন। ঈদুল আজহার রাতে সওয়াবের উদ্দেশ্যে জেগে এবাদত করা সুন্নত। জিলহজের ৯ তারিখ ফজর থেকে ১৩ তারিখের আসর পর্যন্ত জামাত সহকারে ফরজ নামাজ আদায় করা ও তাকবিরে তাশরিফ উচ্চৈঃস্বরে বলা ওয়াজিব।

 

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির

সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১