বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৮

চার হাজার কোটি টাকা পেতে এডিবির সঙ্গে আলোচনা শুরু

শুরু হয়েছে পিইডিপি-৪ কর্মসূচি

প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২৫ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা সংগৃহীত ছবি


৩৮ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির চতুর্থ পর্যায় বাস্তবায়নের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আট দাতা সংস্থা ও দেশ থেকে ১২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকার সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। বড় দাতাদের মধ্যে বিশ্বব্যাংক ৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকার সমান ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের চুক্তি করেছে। এ প্রকল্পে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ কোটি ডলার ঋণ পেতে এডিবির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় চার হাজার কোটি টাকা।

ইআরডি সূত্র জানায়, প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পে সহায়তা চূড়ান্ত করতে সম্প্রতি এডিবির কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইআরডির কর্মকর্তারা। বৈঠকে সহায়তার পরিমাণ নিয়ে আলোচনা হলেও কবে নাগাদ চুক্তি হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে ঋণ অনুমোদন দিতে এডিবির বোর্ড সভায় শিগগির এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে বলে সংস্থার ঢাকা আবাসিক মিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির চতুর্থ পর্যায় (পিইডিপি-৪) অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষায় পাঁচ বছরে ৩৮ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ২৫ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ১২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা আসবে বিদেশি সহায়তা হিসেবে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ও এডিবি দিচ্ছে ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিব), ডিএফআইডি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জিএসি (কানাডা), ডিএফএটি (অস্ট্রেলিয়া), জাইকা এবং ইউনিসেফ আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এ ছাড়া অটিজম কম্পোনেন্টে ইউনেস্কো এবং ইউএসএইড কারিগরি সহযোগিতা দেবে।

কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৬৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ, ১ লাখ ৩৯ হাজার শিক্ষকের প্রশিক্ষণ, ৭১ হাজার ৮০৫টি ল্যাপটপ ক্রয়,  ৪০ হাজার শ্রেণিকক্ষ, প্রধান শিক্ষকদের জন্য সাড়ে ১০ হাজার কক্ষ, ৭৮ হাজার ওয়াশ ব্লক, ৬৫ হাজার বিদ্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবেলা সরঞ্জাম সরবরাহ ও বঞ্চিত ১০ লাখ শিশুর প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে। এতে তিনটি কম্পোনেন্টের (মানসম্মত শিখন শেখানো, অধিগমন ও অংশগ্রহণ, সুশাসন ও ব্যবস্থাপনা) আওতায় ২১টি সাব-কম্পোনেন্ট বাস্তবায়িত হবে।

ইআরডির এডিবি উইংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলকামা সিদ্দিকী জানান, আলাপ আলোচনা শেষ হওয়ার পর ঋণচুক্তি হতে বেশি সময় লাগে না। চুক্তির দিন তারিখ এখনো বলা যাচ্ছে না। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ হলেই চুক্তি স্বাক্ষর করা হবে।

কর্মসূচিটি গ্রহণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ (এসডিজি) অর্জনে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এসব লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখেই প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৪ (পিইডিপি-৪) প্রণয়ন করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত জুন মাসে পিইডিপি-৪ কর্মসূচিটি বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুষ্ঠানে ইআরডির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পিইডিপি-৩ বাস্তবায়নের সফলতার পথ ধরেই পিইডিপি-৪ হাতে নেওয়া হয়েছে। এ সময় আরো জানানো হয়, বিশ্বব্যাংক ১৯৯৮ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে, যা সব শিশুর প্রাইমারি স্কুলে ভর্তির লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হয়েছে।

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১