এম এম মুজাহিদ উদ্দীন

প্রিয় ভর্তিচ্ছু ভাই ও বোন, তোমরা এখন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সময় অতিবাহিত করছ। এ সময়ের সঠিক ব্যবহার ও কৌশলী প্রস্তুতিই তোমাদের কাঙ্ক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। আর এ ভর্তি পরীক্ষায় খ ও ঘ ইউনিটের জন্য বাংলা একটি অত্যাবশ্যক বিষয়। অনেকেই বাংলাকে অবহেলা করে। কিন্তু অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতে অন্যান্য বিষয়ের মতো এ বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাংলা সাহিত্য ও ব্যাকরণ অংশ দুটিকেই সমান গুরুত্ব দেবে। সাহিত্যের অংশের জন্য এইচএসসির বাংলা প্রথমপত্র বোর্ড বইটি অনুসরণ করবে। এ বইয়ে যেসব গল্প-কবিতা আছে সেখান থেকেই মূলত প্রশ্ন আসে। বইয়ের প্রতিটি গল্প, প্রবন্ধ, কবিতার নাড়িনক্ষত্র আয়ত্ত করবে। তোমরা নিশ্চয়ই দেখেছ, এসব গল্প, কবিতা যিনি লেখেন সেই গল্পকার বা কবির পরিচিতি প্রতিটি গল্প, কবিতার শুরুতে দেওয়া থাকে। তোমরা সে অংশটুকু খুব ভালো করে পড়বে। বিগত সালের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত কবি, লেখক পরিচিতির বাইরে সেই লেখক, কবি সম্পর্কে প্রশ্ন আসে না বললেই চলে। তাই তোমরা এ অংশটুকু ভালো করে পড়বে। এ ছাড়া কবিতা, গল্প, প্রবন্ধের শেষে শব্দার্থ ও টীকা থাকে, এ অংশ থেকেও প্রশ্ন আসে। তাই এ অংশকেও অবহেলা করবে না। ব্যাকরণ অংশের প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড বইটি অনুসরণ করবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রস্তুতির জন্য বাজারে প্রচলিত ভালো মানের একটা গাইড বই কিনতে পার। ব্যাকরণ অংশের মুখস্থের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলোকে বেশি জোর দেবে। কারণ এগুলোতে সহজেই ভালো নম্বর পাওয়া যায়। এক কথায় প্রকাশ, বাগধারা, পরিভাষা, সমার্থক শব্দ, বিপরীতার্থক শব্দ, প্রায়সমোচ্চারিত শব্দ, প্রবাদ-প্রবচন, অনুবাদ প্রভৃতিতে নিয়মিত চোখ বুলাতে পার। এ ছাড়া সন্ধি, যুক্তবর্ণ, ধাতু পড়ার সময় খাতায় লিখে লিখে পড়বে। এতে করে তোমার পড়াটা মনে থাকবে সহজে। এ ছাড়া উপসর্গ, প্রকৃতি ও প্রত্যয়, সমাস, বাক্য প্রকরণ, শব্দ, ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, বচন, কারক ও বিভক্তি, ধ্বনির পরিবর্তন বুঝে বুঝে পড়বে। নিয়মিত বুঝে বুঝে পড়লে বাংলায় ভালো নম্বর পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত চর্চা করো। বিগত সালের প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করো। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা এসব টপিকের প্রশ্নগুলো অনুশীলন করতে হবে। তোমাদের প্রস্তুতি সুন্দর হোক। শুভকামনা রইল।

লেখক : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়