বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৮ আগস্ট ২০১৮

আমলাদের অধীনে গেল ২৭১ কলেজ

কমল এমপিদের খবরদারি

লোগো শিক্ষা মন্ত্রণালয়


ঈদের আগে সরকারি হওয়া ২৭১টি কলেজের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত করল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর ফলে কোনো সংসদ সদস্য (এমপি) আর কলেজগুলোর সভাপতি থাকতে পারছেন না। এগুলো আপাতত পরিচালিত হবে আমলাদের অধীনে। শিক্ষক-কর্মচারীদের আত্তীকরণের আগ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক (ডিসি) অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষরে অধ্যক্ষ আপৎকালীনভাবে কলেজগুলো চালাবেন।

গতকাল সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা ‘সরকারিকৃত কলেজের আর্থিক বিষয়সহ অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন’ শীর্ষক এক আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। আদেশটি এরই মধ্যে সব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা এবং ২৭১ কলেজ অধ্যক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

জারি হওয়া আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা-২০১৮-এর আলোকে ইতোমধ্যে ২৭১টি কলেজ সরকারি করা হয়েছে বিধায় সরকারিকৃত কলেজের পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম বিলুপ্ত হয়েছে। এমতাবস্থায় শিক্ষক-কর্মচারীগণ আত্তীকৃত না হওয়া পর্যন্ত কলেজের আর্থিক বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রম যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। এক্ষেত্রে জেলা সদরে অবস্থিত কলেজসমূহের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং উপজেলার মধ্যে অবস্থিত কলেজসমূহের ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষর করবেন।’

কলেজগুলো এখন থেকে কীভাবে চলবে তার নির্দেশনা খুঁজছিলেন অধ্যক্ষরা। বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ ঢাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘুরে গেলেও কোনো প্রশ্নের উত্তর নিয়ে যেতে পারেননি। এতে সঙ্কটে পড়েছিলেন তারা। কারণ সরকারি হয়ে যাওয়ায় অধ্যক্ষরা এখন থেকে কী করতে পারবেন আর কী পারবেন না- সে বিষয়ে সরকারও সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা না দেওয়ায় কলেজগুলোর প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে একধরনের স্থবিরতা নেমে এসেছিল। এ ছাড়া এই ২৭১টি কলেজে অন্তত ১০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। তাদের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পেতে আপাতত কোনো সমস্যা না থাকলেও নন-এমপিও, খণ্ডকালীন ও অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকারের নির্দেশনা ছাড়া বেতন-ভাতা দিতে পারবে না।

জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (কলেজ) ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য বেতন বিলের কপিতে জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেওয়ার কথা বলা হয়েছে অধ্যক্ষদের। তিনি বলেন, বেতন-ভাতা ছাড়াও অধ্যক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসক অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর নিয়ে দৈনন্দিন খরচ চালাতে পারবেন। তবে কোনোভাবেই কলেজে আয়কৃত টাকা অন্য কোনো খাতে খরচ করতে পারবেন না। যদি কোনো অধ্যক্ষ বেহিসেবি টাকা খরচ করেন তাহলে তার আত্তীকরণ প্রক্রিয়া আটকে যাবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কলেজের অধ্যক্ষ বলেছেন, নন-এমপিও, খণ্ডকালীন ও অনার্স-মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষকদের বেতন কীভাবে পরিশোধ করা হবে তার কৌশল জানা দরকার। কারণ এসব শিক্ষকের বেতন-বোনাস কলেজের আয় থেকে পরিশোধ করা হতো। কিন্তু জাতীয়করণ হওয়ায় এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গতকাল জারি হওয়া চিঠিতে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। শুধু বলা হয়েছে আর্থিক বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হবে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালাল উদ্দিন বলেন, এমন চিঠি জারির পরও যদি অধ্যক্ষরা তা না বোঝেন তাহলে বিষয়টি দুঃখজনক। 

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১