বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ৩০ আগস্ট ২০১৮

পাওয়ার ক্রিকেটে বিশ্বাসী সৌম্য

ক্রিকেটার সৌম্য সরকার সংগৃহীত ছবি


৮, ০, ৩, ৩। শেষ চার ওয়ানডে ম্যাচে সৌম্য সরকারের রানের চিত্র এটি। সবশেষ ছয় ম্যাচে নেই কোনো ফিফটির দেখা। সর্বোচ্চ ২৮। শেষ ওয়ানডেও তিনি খেলেছেন প্রায় বছর খানেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। সামনে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। ১৫ সেপ্টেম্বর যা শুরু হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। এই টুর্নামেন্ট ঘিরে পাখির চোখ করে আছেন সৌম্য সরকার।

গত সোমবার থেকে মিরপুরে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি ক্যাম্প। প্রথম কয়েক দিনে হচ্ছে ফিটনেস ও হালকা ফিল্ডিং। গতকালও তার ব্যত্যয় হয়নি। হেড কোচ স্টিভ রোডসের নেতৃত্বে ঘাম ঝরিয়েছেন মাশরাফি-তামিম-সৌম্যরা। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন সৌম্য সরকার। যেখানে তিনি জানিয়েছেন আসন্ন এশিয়া কাপে তার লক্ষ্য ও প্রত্যাশা।

ওয়ানডে ফরম্যাটে সময়টা ভালো না গেলেও স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই এগিয়ে যেতে চান সৌম্য। বিশেষ করে তার পছন্দের পাওয়ার ক্রিকেট। যেখানে মারার বল অবশ্যই মারতে হবে। কোনো ছাড় দেওয়ার অপশন নেই। এ প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘আসলে এক একজনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। তবে আমি মারার বলটা মারি সব সময়। কোচের কথা জানি না, কিন্তু আমি পাওয়ার ক্রিকেট খেলি। মারার বলটা সব সময় মারার চেষ্টা করি।’

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। দুই দলই শক্তিশালী। তবে ফরম্যাট ওয়ানডে বলেই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ শিবির। ব্যাটিংয়ে অন্য দুই দল অপেক্ষা নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন সৌম্য, ‘আমি অবশ্যই আমাদেরকে ওপরে রাখব। সম্প্রতি আমরা যেভাবে ওয়ানডে খেলেছি তাতে আমাদের ব্যাটিং অন্য দুই দল থেকে অনেক বেশি ভালো।’ শেষবার আফগান স্পিনের বিরুদ্ধে অসহায় ছিলেন সৌম্য। এবার তাদের মোকাবেলার জন্য বাড়তি কোনো প্রস্তুতি আছে কি না? সৌম্য বলেন, ‘ওটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ছিল। আর এটা ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টিতে পেস বা স্পিন যাই থাকুক, রানের জন্য খেলতে হবে। আর রানের জন্য খেলতে গেলে উইকেট যাবেই। কোনোদিন সফল হবেন আবার কোনোদিন হবেন না। ওয়ানডে ৫০ ওভারের খেলা। একটা বোলারকে আপনি দেখার সময় পাবেন। টি-টোয়েন্টিতে সেটা পাবেন না। অবশ্যই এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করেছি যে কী ঘাটতিগুলো ছিল... কোচের সঙ্গেও কথা বলেছি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা আশাবাদী যে, ওদের স্পিনাররা সফল হবে না আমাদের বিপক্ষে।’

নতুন হেড কোচ স্টিভ রোডসের কাজ প্রসঙ্গে সৌম্য বলেন, ‘এক এক মানুষের বলার ধরন এক এক রকম থাকে। রোডস অবশ্যই আলাদা, আমরা যেভাবে করতাম তা থেকে। একটা সেকেন্ডও যদি কমানো যায়... মানে আমরা যদি ওইভাবে দৌড়াতে পারি, তাহলে কিন্তু রানআউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এসব নিয়েই আমরা অনুশীলন করছি।’

ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন হলেও সমস্যা দেখছেন না সৌম্য। তার লক্ষ্য পারফর্ম করা। দলকে জেতানো। সুযোগ পেলে বোলিংও করতে চান তিনি। এশিয়া কাপের স্কোয়াডে রয়েছেন বেশ ক’জন তরুণ ক্রিকেটার। যাদের প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপ খেলা, যা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। এটা মানছেন সৌম্যও।

সম্প্রতি জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সমালোচিত নেতিবাচক খবরের কারণে। যিনি আছেন আবার দলেও। এটা কোনোভাবে প্রভাব পড়বে কি না খেলার মাঠে? সৌম্যর মতে, ‘এটা যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। যেহেতু ক্যাম্প শুরু হয়ে গেছে আমরা চেষ্টা করি নেতিবাচক বিষয় সামনে না এনে ইতিবাচক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। যেহেতু এশিয়া কাপ সামনেই, তো সবার চোখ সেখানেই। বড় আসরে কীভাবে ভালো করতে হবে, সেভাবেই অনুশীলন করছে সবাই।’


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১