বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০১৮

বাড়িতে প্রসবই মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ : ডাঃ কাজী মোস্তফা সারোয়ার

ইউএসএআইডি’র মা ও নবজাতক স্বাস্থা্য উন্নয়ন (মামনিএমএনসিএসপি) নতুন প্রকল্প উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতেরর মহা পরিচালক ডাঃ কাজী মোস্তফা সারোয়ার ছবি : বাংলাদেশের খবর


পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ডাঃ কাজী মোস্তফা সারোয়ার বলেছেন, পরিবার পরিকল্পনার সফলতা মানেই দেশের সফলতা। আমরা মাতৃমুত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ হলো বাড়িতে প্রসব করানো। এখনো প্রতি লাখে ১৭৪ জনের মৃত্যু হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউএসএআইডি’র মা ও নবজাতক স্বাস্থ্য উন্নয়ন (মামনিএমএনসিএসপি) নতুন প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, একটি যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশকে প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতে একটি উন্নতস্তরে নিয়েগেছেন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত আমাদের লোকবলের অনেক সংকট ছিলো। বর্তমান সরকার ৮হাজার জনবলের মধ্যে ২হাজার জনবল নিয়োগ দিয়েছেন বাকী ৬হাজার আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে নিয়োগ দিবেন। এসব নিয়োগের ফলে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে এবং সরকারের ভিশন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশ ছোট। তা সত্ত্বেও জনসাধারণ বেশী। আমাদের আয়তন কম, জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশী। নতুন এ প্রকেল্পর উদ্দেশ্য হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একটি সহনীয় মাত্রায় রাখা। ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের জনসংখ্যা বাড়লেও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করে সহনীয় মাত্রায় রাখার জন্য কাজ করবে। সরকারের এ বিভাগ দেশের আপামর জনতাকে সরাসরি সেবা প্রদান করছেন। চাঁদপুরকে স্বাস্থ্য খাতে এগিয়ে নিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। সঞ্চালনায় ছিলেন সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল গফুর মিয়া।

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিচালক মো. নুরুল আলম, বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা পরিদপ্তরের পরিচালক মো. নাজমুস সাহাদাত সেলিম, চট্টগ্রাম বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মো. আবুল কাশেম, ইউএসএআইডির এইচএসএস টীম লিডার ইফতেখার রশিদ, প্রকল্পের চীফ অব পার্টি জবী জর্জ, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রোগ্রাম অফিসার ডাঃ তানভীর আহমেদ চৌধুরী, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ হাসিবুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. সাইদুজ্জামান। চাঁদপুর জেলার তথ্য উপস্থাপন করেন জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মো. ইলিয়াছ।

উল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১০টি জেলা। জেলাগুলো হচ্ছে: হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনি, নোয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ এবং কুষ্টিয়া।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১