সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বাংলাদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া আমন্ত্রণ গ্রহণ  করেছেন। সৌদি আরবে চার দিনের সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে গতকাল সোমবার গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও দুই দেশের সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী গত ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত সৌদি আরব সফর নিয়ে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক, বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা তুলে ধরেন।

বাদশাহর আমন্ত্রণে চার দিনের সফরে সৌদি আরবে যান শেখ হাসিনা। ২০১৬ সালের পর রিয়াদে এটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌদি বাদশাহর দ্বিতীয় বৈঠক। এ ছাড়া ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এটি প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ সৌদি সফর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পাঁচটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। সেই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরতে সৌদি আরব বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলেও জানিয়েছে। সৌদি আরবের বাদশাহ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা রক্ষায় আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন।’

সফরের দ্বিতীয় দিন রিয়াদে সৌদি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিন দুপুরে তিনি সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং রাজপ্রাসাদে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। বাদশাহর সঙ্গে বৈঠকের পর রিয়াদে নিজস্ব জমিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা।

এরপর মদিনায় গিয়ে তিনি মসজিদে নববিতে এশার নামাজ পড়েন এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদের (সা.) রওজা জিয়ারত করেন। মদিনা থেকে জেদ্দায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। সেদিনই তিনি মক্কায় যান ও পবিত্র ওমরাহ পালন করেন। সফর শেষে ১৯ অক্টোবর দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।