বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০১৮

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা নেই : ড. কামাল

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন সংগৃহীত ছবি


গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কেউ বিদ্বেষপূর্ণ, ভিত্তিহীন ও ব্যক্তিগত আক্রমণ করে যাচ্ছেন। তাদেরকে উদ্দেশ করে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বা কোনো রাষ্ট্রীয় পদ পাওয়ার ইচ্ছা তার নেই। একটি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বহুমাত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আমৃত্যু কাজ করে যাবেন। গতকাল বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবির কথা উল্লেখ করে ড. কামাল বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রট এই লক্ষ্যগুলোর প্রতি সঙ্কল্পবদ্ধ। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে এই লক্ষ্যগুলো অর্জনে কাজ করে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জামায়াতে ইসলামী বা তারেক রহমানসহ অন্য কোনো বিশেষ নেতার প্রতি সমর্থন হিসেবে এই উদ্যোগকে দেখার কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন এই সংবিধান প্রণেতা।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, তারেক রহমানের সঙ্গে তার দলের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপির সঙ্গে গণফোরামের ঐক্য হয়েছে। এখানে তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের কোনো কথা বলার প্রয়োজন হয় না।

এই প্রবীণ আইনজীবী বলেন, জনগণের উদ্বেগ ও আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে গণফোরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও দেশের নাগরিক সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে ৭টি দাবির ব্যাপারে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। সেই ৭টি দাবি হলো- বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, মন্ত্রিসভার পদত্যাগ, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাহী বিভাগ বা সরকার গঠন,  রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া, বাকস্বাধীনতা ও রাজনীতির সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করা, জনগণের আস্থা আছে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করা।

তিনি বলেন, জনগণ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে যে, একটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ভিত্তি হিসেবে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, এই ৭ দফা দাবি আদায়ে জনমত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কাছে দাবিগুলো তুলে ধরা হবে। যাতে তারাও অবদান রাখতে পারে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়। যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তা শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি আদায় করার জন্য। এছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে নয়।

গত রোববার জাতীয় সংসদে ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে যেসব মন্তব্য করা হয়েছে সে বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব নিয়ে মন্তব্য করার কোনো প্রয়োজন তিনি বোধ করছেন না। যদি কখনো প্রয়োজন মনে করেন তখন মন্তব্য করবেন।

‘সংবিধানের বাইরে কোনো দাবি মানা হবে না’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংবিধান তো তারা সংশোধন করেছে। আগের সংবিধানে এসব কথা ছিল?

‘দাবি মানা না হলে কর্মসূচি কেমন হবে’- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আপাতত সারা দেশে যে জনমত গঠন করা হবে তার মাধ্যমে দাবি আদায় সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তারপরও যদি দাবি আদায় না হয় তাহলে গভীরভাবে ভেবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা আ ব ম মোস্তফা আমীন, গণমাধ্যমবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক প্রমুখ।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১