বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০১৮

কেন বাড়ছে ডলারের দাম?

টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ছেই সংগৃহীত ছবি


ভারতীয় রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মান শক্তিশালী হলেও ডলারের বাজারের লাগাম নেই। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বাড়ছেই। মাঝে তিন মাস একই দরে স্থিতিশীল থাকলেও আবারো অস্থির হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ফের বিক্রি শুরু করেছে ডলার। তবে এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার নিয়ন্ত্রণে ডলার বিক্রি করলেও তাতে কোনো সুফল মেলেনি। দেশের ব্যাংকগুলোতে এখন নগদ মার্কিন ডলারের মূল্য সর্বোচ্চ ৮৬ টাকা ৫০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। আমদানি পর্যায়ে ডলারের দর উঠেছে ৮৩ টাকা ৮৫ পয়সা। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমদানি বেড়ে গেছে। তবে বিপরীতে বাড়েনি সেই হারে রফতানি। যদিও গত সেপ্টেম্বর মাসে রফতানি আয়ের বড় উল্লম্ফন হয়েছে। তবে তার সঙ্গে আমদানি ব্যয়ও রেকর্ড ছুঁয়েছে। ঘাটতি দেখা দিয়েছে চলতি হিসাবে। বড় আকারের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে দেশ। যার কারণে ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগ নিতে তৎপর কিছু ব্যাংক, ডলারের চাপ বেড়ে যাওয়ায় যারা সুযোগ নিচ্ছে। 

এর আগে কারজাসি করে ডলারের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িত থাকায় কয়েকটি ব্যাংককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রায় দুই বছর ধরে ডলারের দাম পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। তবে গত তিন মাস দাম বাড়েনি। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বাড়তে শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে ৮৩ টাকা ৮৩ পয়সা দরে, যা এক বছর আগের তুলনায় ৩ টাকা বেশি। গত বছর একই সময়ে ডলারের দাম ছিল ৮০ টাকা ৮৩ পয়সা। আমদানি দায় শোধ করতে এ হার বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

ব্যাংকগুলোতে গত বৃহস্পতিবার নগদ ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংকই ৮৫ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৮৬ টাকায় ডলার বিক্রি করছে। ব্যাংকগুলোর মতো মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোও বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। 

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণ কেবল চাহিদা নয়, চাহিদাকে কিছু ব্যাংক অবৈধভাবে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলতি হিসাব ঋণাত্মক হয়ে গেছে। বাণিজ্য ঘাটতিও বাড়ছে। এর ফলে ফায়দা নিতে পারছে অসাধু চক্র। ডলারের দাম বাড়লে রফতানিকারকরা লাভবান হয়। তবে সমস্যায় পড়েন আমদানিকারকরা। কারণ আমদানি ব্যয় বাড়লে স্থানীয় বাজারের পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চাপ পড়ে মূল্যস্ফীতির ওপর। এতে করে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে সবচেয়ে কষ্ট হয় গরিবের।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করা হালনাগাদ প্রতিবেদনে তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৬৭১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৮৮২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সেই হিসাবে আগস্ট শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ২১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৭ হাজার ৬৯৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৭৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১