বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০১৮

ব্যাংক হিসাব বাড়ছে না পথশিশুদের

পথশিশু ছবি : সংগৃহীত


পথশিশু ও কর্মজীবী শিশু-কিশোরদের ব্যাংক হিসাব খোলার আগ্রহ তৈরি হচ্ছে না। ব্যাংক ও অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছায়নি বাংলাদেশের পথশিশুরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৪ সালের মার্চ মাসে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পথশিশু ও কর্মজীবী শিশু-কিশোরদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় এনে তাদের উপার্জিত অর্থের নিরাপদ সঞ্চয়ের সুযোগ তৈরি করে দেয়। তারপর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কার্যত খুব বেশি সফলতা আসেনি। বিভিন্ন ব্যাংকে ৪ হাজার ৬৮৪টি হিসাব পরিচালিত হচ্ছে পথশিশুদের। যাদের হিসাবে জমা রয়েছে ৩৩ লাখ টাকার কাছাকাছি। আর গত মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত নতুন হিসাব হয়েছে ৩০৫টি। ১৫টি এনজিও পথশিশুদের ব্যাংক হিসাব খুলতে সরাসরি কাজ করছে।

অবশ্য দেশে ৫৮টি ব্যাংক ব্যবসা পরিচালনা করলেও দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষের হিসাব রয়েছে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক জরিপ বলছে, শ্রীলঙ্কার ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের ব্যাংক হিসাব আছে। সেখানে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশের একটু বেশি। তবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জনে ব্যাংকিং খাতের সঙ্গে আরো সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।

সংস্থাটির হিসাব মতে, মালয়েশিয়ার প্রায় ৩১ শতাংশের বেতন হয় ব্যাংকে। বাংলাদেশে এ হার মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ৫৩ শতাংশ মানুষের ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

পথশিশু ও কর্মজীবী শিশুদের ব্যাংক হিসাব বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন সময় বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) নির্বাহীদের নিয়ে বৈঠক করে যাচ্ছে। তারপরও পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের হিসাব খোলার কাজটি আর আগের মতো এগোচ্ছে না। কীভাবে কাজটি এগিয়ে নেওয়া যায় তা নির্ধারণের জন্য একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত জুন পর্যন্ত ১৭টি ব্যাংক (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংক) ১৫টি এনজিওর মাধ্যমে এ কাজ করছে।

মাসাস, সাফ, উদ্দীপন, অপরাজেয় বাংলাদেশ, ব্র্যাক, নারীমৈত্রী, সিপিডি, প্রদীপণ, সাজিদা ফাউন্ডেশন, এএসডি, শক্তি বিদ্যালয়, ইবিসিআর প্রকল্প ও পরিবর্তন কাজ করছে পথশিশুদের ব্যাংকে আনতে। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকে সবচেয়ে বেশি পথশিশুদের হিসাব রয়েছে। যার পরিমাণ ১ হাজার ৩৮টি। এসব হিসাবে জমা ৮ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হিসাব রয়েছে রূপালী ব্যাংকের। যাতে জমা আছে ১০ লাখ টাকা। পূবালী ব্যাংক ৫৪৪টি হিসাব খুলেছে এবং হিসাবগুলোতে প্রায় ৪ লাখ টাকা জমা করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক আবুল বশর এ ব্যাপারে বলেন, পথশিশু ও শ্রমজীবী শিশু-কিশোরদের হিসাব খুলতে অনেক বড় একটি ফরম পূরণ করতে হয়। আমরা এই ফরম পূরণ কীভাবে আরো সহজীকরণ করা যায় সেই চেষ্টা করছি। এ ছাড়া যেসব এলাকায় শ্রমজীবী শিশু-কিশোর বেশি, সেই এলাকাগুলো লক্ষ্য করে কাজ করতে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১