বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৮

ফের পেছাল রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন

রিজার্ভ চুরি প্রতীকী ছবি


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ফের পিছিয়ে গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আগামী ৯ জানুয়ারি পুনরায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার দিন ধার্য থাকলেও তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবির ইয়াসিন আহসান চৌধুরী নতুন এ দিন ধার্য করেন।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়ে যায়। স্থানান্তরিত এসব টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়। ধারণা করা হয়, দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় এ অর্থ পাচার করা হয়েছে। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ ধারাসহ তথ্য ও প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৪ ধারায় ও ৩৭৯ ধারায় করা মামলায় সরাসরি কাউকে আসামি করা হয়নি। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। তবে দফায় দফায় সময় নিলেও নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি পুলিশের এ তদন্ত সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয় ১০১ মিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ফিলিপাইন আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফেরত আনা গেছে। এছাড়া ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশন-আরসিবিসি বাংলাদেশ ব্যাংককে দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন ডলার ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ফেরত দিয়েছে। আর ঘটনার পরই ২০ মিলিয়ন ডলার ফেরত আসে শ্রীলঙ্কা থেকে।

এদিকে ফিলিপাইন সরকার সম্প্রতি রিজার্ভ চুরির ঘটনা বাংলাদেশের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে। অর্থমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠির জবাব প্রস্তুত করতে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকে। বাংলাদেশ চিঠির জবাবে একটি সারসংক্ষেপ পাঠাবে বলে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনের করা সেই প্রতিবেদন ফিলিপাইনকে দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় অর্থ উদ্ধারে মামলা দায়েরের কোনো অগ্রগতি নেই। পর্যালোচনা আর আইনি ব্যাখ্যায় আটকে আছে পুরো প্রক্রিয়া। অথচ এ ঘটনায় আড়াই বছর পেরিয়ে যাচ্ছে। আইন মোতাবেক, এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়। সে হিসেবে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আদালতে যেতে হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। সে হিসেবে জুনের মধ্যে মামলার সময়সীমা ছিল। 

 

 


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১