বিরোধী নেতাকর্মীদের জামিন না দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে জেলা দায়রা জজদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি জেলা দায়রা জজদের নিয়ে একটি সভা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে অত্যন্ত স্বনামধন্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন যে নির্বাচনের পূর্বে তারা যেন জামিন না দেন। এ কথাগুলো অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্রের দায়িত্বে থাকা ফখরুল বলেন, নির্বাচন ক্রমেই প্রহসনে পরিণত হতে চলছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আবার ক্ষমতায় যেতে চায় সরকার। সেজন্য বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন এবং যত রকম কৌশল আছে সরকার প্রয়োগ করছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১ হাজার ৯৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি যে তারা যেন তাদের দায়িত্ব পালন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দূরে থাকুক, এখন চেষ্টা করা হচ্ছে কীভাবে আরো খারাপ করা যায়। খানাখন্দ খোঁড়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। পরিপত্র জারি করছে। যেগুলো নির্বাচনের সহায়ক নয়।

ইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারি দল প্রতিদিন সভা-সমাবেশ করছে কিন্তু কিছুই করছেন না। আপনারা যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে দেশবাসীকে বলুন ‘স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না’। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় সংবিধান আপনাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আমরা সাহায্য করব। দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।