বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

ইন্দুরকানী বিভিন্ন নদীতে নৌযান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা


চলতি শীত মৌসুমে শুরুতেই কচুরিপানার স্তুপে ঢেকে গেছে ইন্দুরকানীর বিভিন্ন নদ-নদী । সেই সঙ্গে নৌপথ কুয়াশায় আবৃত থাকায় সব ধরনের ফেরি ,লঞ্চ ও ষ্টিমারসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৌযান চলাচল এখন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে নৌযানগুলোকে গন্তব্যে যেতে যথেষ্ট বিলম্ব হচ্ছে।

অভ্যন্তরীর নদীপথ ঘুরে দেখা গেছে, কচা , বলেশ্বর ও পানগুছি নদী সহ প্রায় সব নদী ও খালে কচুরিপানার স্তুপে ভরে গেছে। ফেরি সহ অন্যান্য নৌযানগুলো বিশেষ সতর্কতায় সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছে।কখনও কখনও কচুরিপানার জটে ফেরি আটকে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় ফেরি চালকদের। পাড়েরহাট নৌবন্দরের কচা ও বলেশ্বর নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি কচুরিপানায় ঢেকে গেছে নৌপথ। ফলে পাড়েরহাট নৌ-বন্দর থেকে বিভিন্ন বন্দর ও লঞ্চঘাটগুলোতে নৌ-চলাচলে তীব্র ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বিগত বছরের চেয়ে চলতি শীতে মৌসুমে কচা ও বলেশ্বর নদের পানি প্রবাহ ও কচুরিপানা এতটাই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে, ছোট ছোট বন্দরের ব্যবসায়ীর নৌপথে মালামাল পরিবহনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।

শীত মৌসুমের শুরুতেই নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ড্রেজিং করা না হলে ওই নৌপথে নৌযোগাযোগ রক্ষা করা ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। কচা ও বলেশ্বর নদীর বর্তমানে কচুরিপানার জটে ক্ষুদ্রকারের নৌকা গুলোও আটকে যাচ্ছে। অত্র বন্দরের সহস্রাধিক ব্যবসায়ী নৌ-যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের বিভিন্ন ধরনের পণ্যাদি আমদানি ও রপ্তানি করে থাকেন। পাড়েরহাট মৎস বন্দরের খালের ভিতরে কচুরিপানা থাকায় কোন মাছধরা ট্রালার সহ বিভিন্ন যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারছে না। যার কারনে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।

মূলত, এ বন্দরের ব্যবসায়ীরা নৌ-যোগাযোগের ওপরই নির্ভশীল। এছাড়াও উপজেলার চাড়াখালী, বালিপাড়া ভাড়ানি খাল, ও মরা বলেশ্বরে কচুরিপানার স্তুপ হওয়ায় নৌ যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের জানান,শীত মৌসুমের শুরুতেই নদীতে পানি প্রবাহ ও কচুরিপানার মাত্রা এতটাই বেড়ে গেছে ফলে নৌ-যোগাযোগ পণ্য আমদানি ও রফতানি করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১