বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

বর্তমান সাধারণ সম্পাদককে মারধর করলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক

জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান চঞ্চল সংগৃহীত ছবি


অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ক্ষমতার আধিপত্য এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ অমান্য করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বিরুদ্ধে। মারধরকারী এই নেতা সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। মারধরের শিকার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হলেন আবু সুফিয়ান চঞ্চল।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শহীদ সালাম বরকত হলের সামনে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় আবু সুফিয়ান চঞ্চলকে গালিগালাজ, উচ্চ স্বরে হুমকি-ধমকি দেন রাজীব আহমেদ রাসেল।  এ সময় হলের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয় এবং উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে চঞ্চল ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় রাজিব আহমেদ রাসেলের একনিষ্ঠ অনুগত ছিলেন আবু সুফিয়ান চঞ্চল। পরবর্তীতে শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে আসেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল। চলতি কমিটির মেয়াদ ২ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও রাজিব আহমেদ জাবি শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক প্যানেলের রাজনীতিতে শক্ত আধিপত্য ধরে রাখতে সক্ষম হন। সাম্প্রতিক সময়ে দু’জনের মধ্যে নানা ইস্যুতে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। এতে রাজিব আহমেদ রাসেলের অনুসারীরা চঞ্চলের সঙ্গ ত্যাগ করেন।

সর্বশেষ গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাবি ক্যাম্পাসের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা ফেরার সময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে অভিনন্দন জানানোর জন্য সড়কের সামনে অবস্থান নেন। এদিন চঞ্চলকে উপেক্ষা করে সহ-সভাপতি নিয়ামুল হাসান তাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লার নেতৃত্বে একটি অংশ আলাদাভাবে মহাসড়কের পাশে জড়ো হন। এইভাবে উল্টো চলো নীতিতে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দূরত্বের বিষয়টির প্রকাশ পায়। এরই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতে রাজিব আহমেদ রাসেল চঞ্চলকে গালিগালাজ ও মারধর করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সিনিয়র-জুনিয়র ভাইয়ের মধ্যে মনোমালিন্য আর কি। সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের মধ্যে আরেকটা প্যানেল কেন হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চঞ্চলকে আমি ধমক দিয়েছি।

এ বিষয়ে আবু সুফিয়ান চঞ্চল বলেন, উনি হলের সামনে এসে জুনিয়র ব্যাচের কয়েকজন কর্মীকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় তাকে ক্ষিপ্ত হতে নিষেধ করি এবং গেস্ট রুমে বসতে বলি। পরবর্তীতে সেখানে ধাক্কাধাক্কির মতো অবস্থার তৈরি হয়। এটা সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি মাত্র। যেটা ঘটেছে সেটা অনাকাঙ্খিত। এই রকম পরিস্থিতির জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১