বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

নাটোর-১ আসনে

প্রচারনায় এগিয়ে নৌকা, ঘর গোছাতে ব্যস্ত ধানের শীষ

কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে ধানের শীষের গণসংযোগ করছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী মুনজুরুল ইসলাম বিমল অপরদিকে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে গণসংযোগ করছেন নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল প্রতিনিধির পাঠানো ছবি


আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুলের পক্ষে আওয়ামী লীগ ও মহাজোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সকলে একত্রিত হয়ে নৌকা প্রতিকের পক্ষে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। অপর দিকে বিএনপি’র মনোনিত প্রার্থী কামরুন্নাহার শিরিনকে বাতিল করে ঐক্যফ্রন্ট তথা কৃষকশ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী মুনজুরুল ইসলাম বিমলকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেয়ায় এখন পর্যন্ত বিএনপির শীর্ষ নেতারা মাঠে না নামায় ঘর গোছাতেই ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। লালপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মুনজুরুল ইসলাম বিমল তার সমর্থকদের নিয়ে ধানের শীষের প্রচারনা চালালেও ব্যাপকভাবে তিনি প্রচারনায় নামতে পারেনি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে মোট ৫জন প্রার্থী লড়ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল, ঐক্যফ্রন্টের (কৃষকশ্রমিক জনতা লীগ) প্রার্থী মুনজুরুল ইসলাম বিমল ধানের শীষ, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন সাবেক এমপি আবু তালহা, বিপ্লবি ওয়ার্কাস পার্টির আনছার আলী দুলাল কোদাল প্রতীকে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আলহাজ্ব খালেকুজ্জামান হাতপাখা নিয়ে নির্বাচনী মাঠে লড়ছেন। তবে নির্বাচনে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যেই মূল লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন সাধারণ ভোটাররা।

বিএনপি’র উপদেষ্টা ও সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটল বিএনপি থেকে বেশ কয়েকবার এ আসনে জয়ী হন এবং নাটোরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম মন্ত্রী হন। অপর দিকে আওয়ামী লীগ এখান থেকে বার বার পরাজিত হওয়ায় ২০০৮ সালে মহাজোটকে এ আসন ছেড়ে দিলে জাতীয় পার্টি তৎকালীন বিএনপির হেভিওয়েট নেতা ও প্রতিমন্ত্রী ফজলুর রহমান পটলকে পরাজিত করে আসনটি মহাজোটের হাতে আসে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন না করায় বিনাভোটে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রথমবার এমপি হন এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ। এবারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুলকে নৌকা প্রতীক দেওয়ায় বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদসহ দলের ও মহাজোটের নেতা কর্মীরা এ আসনটিকে ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিনই তারা দুই উপজেলাতেই নিয়মিত গণসংযোগ, মিছিল, মিটিং করে যাচ্ছেন। তবে মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টি এককভাবে মনোয়ন দিয়েছেন সাবেক এমপি আবু তালহাকে, তিনিও প্রচার প্রচারণা ও গনসংযোগ করে যাচ্ছেন।

কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম বিমল গনসংযোগ করলেও মাঠে নেই বিএনপি ও অঙ্গসংঠনের শীর্ষ নেতা কর্মীরা। তাকে তার নিজ এলাকা গোপালপুর পৌর শহরে ও এর আশে পাশের এলাকাতে পোস্টার লাগানো ও গনসংযোগ করতে দেখা গেছে। তবে বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় তার প্রচারণা তেমন নেই। বিএনপির অসহযোগীতার কারনে ও কর্মী না থাকার কারনেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে একাধিক বিএনপি নেতা সমর্থকরা জানিয়েছেন। এদিকে অসহযোগীতার কথা স্বীকার করে লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলার একাধিক শীর্ষ বিএনপি নেতারা অভিযোগ করে জানান, এ আসন বিএনপির ঘাটি এবং এ আসনে আওয়ামী লীগ কখনোই নৌকা প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করতে পারেনি, সেই আসনে কিভাবে বিএনপি’র প্রার্থী বাদ দিয়ে দল ও জনবিচ্ছিন্ন এবং বহিস্কার করা একজনের হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে করে ধানের শীষ প্রতীকের অবমাননা করা হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।

এ ব্যাপারে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংসদের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম টিটু বলেন, নাটোর- ১ আসনে বিএনপিকে নাদিয়ে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়ে দল ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এতে দলের জন্য ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে তিনি আশংকা করেন। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের তথা ধানের শীষের প্রার্থী মুনজুরুল ইসলাম বিমল জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যাক্ত করে জানান, প্রথম দুএকদিন এরকম একটু সমস্যা ছিল তবে সময়ের সাথে সাথে সে সমস্যা দুর হয়ে যাচ্ছে। এখন অনেক বিএনপি নেতাকর্মী তার পক্ষে ভোটে নেমেছেন এবং আগামী দিনে সকল নেতাকর্মী এক সাথে তার পক্ষে কাজ করবেন। এছাড়া এ আসনের অন্য দুই প্রার্থীর পক্ষে মাইকিং ও পোষ্টারিংসহ গণসংযোগ চালাতে দেখা গেছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১