বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম আর নেই।  আজ বৃহস্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।  

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

প্রধানমন্ত্রী সহকারী প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ আওয়ামী লীগের এই নেতা দেশের বাইরে থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। অসুস্থতার কারণে গতকাল নির্বাচিত অন্য সদস্যদের সঙ্গে শপথ নিতে পারেননি তিনি। এ জন্য স্পিকারের কাছে সময় চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার আর সংসদে ফেরা হলো না।

ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ৬৮ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য। এর আগে দুই মেয়াদে দলটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জাতীয় চার নেতা ১৯৭৫ সালে কারাগারে নিহত হওয়ার পর যুক্তরাজ্যে চলে যান আশরাফ। দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে কিশোরগঞ্জের এই আসন থেকে নির্বাচন করে তিনি সংসদ সদস্য হন। এরপর ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পুনর্র্নিবাচিত হন তিনি।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে আওয়ামী লীগের যে কয়জন নেতা দলের হাল ধরেছিলেন, তাদের অন্যতম আশরাফ। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।