আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০১৯
যাকির সাইদ গতকাল খুব ভোরে একটির পর একটি আমি নতজানু হয়ে বলি, মাহফুজ রিপন কালো দিগন্ত রেখার কাছে আমার মাটির ঘর নদীর এপারে আমাদের কল্পনার সংসার রোজ রাতে তোমার বালিশ বদল খেলা সুখ নিদ্রা ভেঙে গেলে দিক ভুলে যাই অপেক্ষায় রাঙা বৌয়ের স্বপ্ন উড়াল দিল টিপু সুলতান তুমি যখন চরিত্রের অন্ত্যমিল খোঁজো কবিতার মিথ, পরিমার্জিত উপমার কৈশোর রূপ আমি তখন বারংবার ফিরে আসি অলস পাঠকে
হিজলের ঘ্রাণ
মেঘের ডানায় চড়ে
আমার উঠোনে নেমেছিল
ধানসিঁড়ি নদী,
ঢেউয়ের ভাঁজ খুলে
দেখালো রক্তাক্ত প্রেম,
হূদয় ছাপিয়ে সেই রক্ত
ট্রামের লাইন ধরে
গিয়েছিল বয়ে,
পাঠকের অন্তরতম
সত্তায়।
আড়াল পছন্দ খুব, তাই
আমৃত্যু ভালোবেসেছ
নির্জনতা।
তোমার এই নির্লিপ্ত
সচেতনতায়
আবিষ্ট হয়ে ঘুরে এসেছি
হিজলের বন, শুনেছি
হুতোম পেঁচার ডাক,
হিজলের ঘ্রাণ...
হুতোম পেঁচার ডাক
কানে বাজে আজো
আমার...
মাটির পৃথিবী
সে ঘরে নারী এবং শিশুরা রোজ হল্লা করে
আমি বনবাস থেকে পোড়া মাটির ঘ্রাণ পাই।
রান্নাবাটিতে লবণ আর মরিচের ব্যবধান।
আমার এখানে শিথান পৈথান একাকার।
কালো গ্রাম দেখলে হল্লা করে ছুটি।
দানাধরা চিন্তা থেকেই দিগন্ত রেখার শুরু।
পাঠক
আমি তখন স্বাচ্ছন্দ্য শব্দের মহাসড়কে হাঁটি।
মুদ্রিত আদিমের স্থলে বৃক্ষ পাতার আঙুল
পৌষের ছায়াঘন রোদ্দুর-কুয়াশার উপত্যকা—
খানিকটা সবুজ উদ্যান পূর্ণাঙ্গ আলোকবর্তিকার
মতো কমলালেবুর রঙ, মজুত অন্ধকার প্রকাশ্য পড়ি।
বেমিল আঙুলে শাদা-লু কালো চুলের বিলি কাটি-
এই ধর, ধবধবে মনে, ফুল আর শ্যাওলা মেশানো
বেহুঁশ জলে; কিংবা ট্রেনের বগিতে জমাট বাঁধা
কোলাহল ধ্বনি, নারী-পুরুষ ইঞ্জিনরুম, পালাক্রমে
যেখানে কবিতা এবং পৃথিবী একাকার, অ-দস্যু কবি!
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১