আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০১৯
মাদক সংশ্লিষ্ট যারা ‘সুস্থ জীবনে’ ফিরতে চায়, তাদের সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র তাদের (অপরাধী) বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিলেই যে তারা ভালো হয়ে যাবে তা না। বরং তাদেরকে সমাজের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারাটাও কিন্তু অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সুন্দরবনের দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরা এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে পুর্নবাসনে সহায়তার কথাও তুলে ধরেন। গতবছর ৪ মে হতে মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে কথিত বন্দুকযুদ্ধে। এই অভিযান নিয়ে মানবাধিকারকর্মীদের সমলোচনাও শুনতে হয়েছে সরকারকে। তবে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জয়ের পর নতুন সরকার গঠন হলে বিশেষ করে ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। এরপর কক্সবাজারের চিহ্নিত মাদক পাচারকারীদের একটি অংশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে আত্মসমর্পণ করতে নিরাপত্তা হেফাজতে এসেছে এমন খবর চাউর হয়। পুনর্বাসনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যথায় তারা আবার পুরনো জীবনে ফিরে যায়। বলেন, যারা সংসারে ফিরে আসতে চাইবে, তাদেরকেও সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। মাদকাসক্তদের নিরাময় কেন্দ্রের সেবা বাড়ানোরও তাগিদ দেন শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি মাদকের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা জোরদার করার তাগিদ দেন। কক্সবাজারে আত্মসমর্পনে জড়ো হওয়া ইয়াবা কারবারীদের অবস্থানের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে কারবারীরা। অনেকে প্রধানমন্ত্রীর এ ধরনের নিদের্শনায় আরো বেশী মাদক কারবারী আত্মসমর্পনে যুক্ত হবে বলে দৃঢ মত প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ ধরনের ঘোষনাকে স্বাগত জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, কক্সবাজার-৪ আসনের সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, মাদক কারবারীদের সুষ্ঠু জীবনে ফিরে আসার সুযোগ সরকারের একটি সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার ফল। এরফলে পরিবার ও সমাজে শান্তি ফিরে আসবে। মাদকে দেশ ডুবে আছে। এ থেকে পরিত্রান পেতে এ ধরনের নির্দেশনা সরকার প্রধান হিসেবে নতুন সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
আজ রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এই বৈঠক করেন তিনি। এর আগে প্রথমে প্রতিরক্ষা এবং পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরিদর্শন করেন তিনি।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১