বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৯

কুষ্টিয়ায় ভবন ধসে নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ


কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনে ধসের ঘটনায় এবার কুষ্টিয়ায় মাসিক সমন্বয় সভায় ঠিকাদারকে তুলোধুনা করেছেন রাজনীতিবিদরা। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন তারা। এদিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনে ধসের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম নানা অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। এছাড়া মন্ত্রনালয়, আইএমইডি ও গণপুর্ত বিভাগে আলাদাভাবে তদন্ত করেও নানা অনিয়ম পেয়েছে। এদিকে ঘটনার দিন নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে মাসিক সমন্বয় কমিটির সভা শুরু হয়। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা ছাড়াও সুশীল সমাজের লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।

আজ সোমবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঘটনার দিন নিহত ও আহত শ্রমিকদের পরিবারের হাতে অর্থ সহায়তা তুলে দেয়া হয়। জেলা প্রশাসন ও ঠিকাদারের সহায়তায় এ অর্থের ব্যবস্থা করা হয়। জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন নিহত বজলু শেখের স্ত্রীকে ৫ লাখ ও আহতদের ৪জনের পরিবারকে ২ লাখ চেক দেন। এ সময় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিডি ডা. আশরাফুল হক দারা, গণপূর্তের নির্বাহী শফিউল হান্নান খান, ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আজাদ জাহান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার সোহেল রহমান উপস্থিত ছিলেন।

অনির্ধারিত আলোচনায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজের বিষয়টি আলোচনায় তুলে আনেন কয়েকজন রাজনীতিবিদ। পরে আলোচনায় অংশ নেন অনেকে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভবনের ছাদ ধসের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন তারা। সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিন্টু ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এমন দুইজনের সাথে কথা হলে বলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলাম প্রমাণ হিসেবে নিন্মমানের দুটি ইট সাথে নিয়ে আসেন।

হাজি রবিউল তার বক্তব্যে বলেন, দিনের পর দিন ঘুরে মেডিকেল কলেজের জন্য সময় দিয়েছি। অনেক শ্রম ব্যায় করতে হয়েছে। তারপরে কুষ্টিয়াবাসী মেডিকেল কলেজ পেয়েছে। আমাদের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফের সম্মান জড়িয়ে আছে এ মেডিকেল কলেজের সাথে। তাই কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না। অনিয়ম ও গাফিলতির ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। কোন নজরদারি না থাকায় ঠিকাদারসহ গণপূর্তের লোকজন ইচ্ছামত কাজ করছে। এ কারনেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এদিন আরো বড় ঘটনা ঘটে যেতে পারত। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এ ঘটনায়। নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ চলছে। এগুলো দেখা দরকার। মেডিকেল কলেজের কাজের মান নিয়ে কোন আপোষ করা হবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন। এর আগেও নানা অসঙ্গতির কারনে কারনে দুই বছর কাজ বন্ধ ছিল। এমপির প্রচেষ্টায় তা নিরসহ হয়েছে। এখন আবার এ ঘটনায় কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। তাই সব অনিয়মের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

মেডিকেলের কাজের মান নিয়ে জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কাজের মানের বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেন তিনি। তিনি ঠিকাদারকে আরো সিরিয়াস হওয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া এ ঠিকাদারের সব কাজ কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় আনার নির্দেশ দেন। এ সময় ঠিকাদার ও গণপুর্তের কর্মকর্তাদেরও এক হাত নেন তিনি।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১