বাংলাদেশের খবর

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০১৯

সাংবাদিক ও আইনজীবীদের পেনশনের আওতায় আনতে হাইকোর্টে রিট


 সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সরকারের পেনশন সুবিধার আওতায় আনার দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। আজ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক

ওই রিট আবেদনে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ফান্ড বরাদ্দ দিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া সাংবাদিক ও আইনজীবীদের সরকারের পেনশন সুবিধার আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- এজন্য পর্যাপ্ত ফান্ড বরাদ্দ দিতে নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

পাশাপাশি রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় এ ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে সাংবাদিক ও আইনজীবীদের বিষয়টি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনটির আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন খান লার্জ জানান, রিট আবেদনটির ওপর মঙ্গলবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের তিনটি সাংবিধানিক অঙ্গের বাইরে আইনজীবীরা একটি সাংবিধানিক অঙ্গ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, একই ভাবে কিছু হলুদ সাংবাদিকতা বাদে দেশের সাংবাদিকেরাও তাদের সংবাদ সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে, যাতে করে নির্বাহী বিভাগ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, প্রাইভেট সেক্টরস এবং সকল নাগরিক লাভবান হচ্ছেন।

কিন্তু আইনজীবী এবং সাংবাদিকরা সকল ক্ষেত্রে অবহেলিত এবং তাদের ন্যূনতম স্বার্থ রক্ষায় মামলার বাদী সংক্ষুব্ধ হিসেবে হাইকোর্টের সামনে হাজির হয়েছেন।

রিট আবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকার সংবিধানের অধীনে প্রজাতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার করেছে। অথচ সাংবাদিক ও আইনজীবীদের অবসরের পরে কোনো নগদ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই, এমনকি সরকারের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি থেকেও বঞ্চিত। অথচ রাষ্ট্রের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা গ্রাচ্যুইটি হিসেবে এবং লাফই টাইম প্রিমিয়াম বোনাস পাচ্ছেন।

রিটে বলা হয়েছে, এখানে সেনাবাহিনী বা রাষ্ট্রের অন্য চাকরিজীবীদের প্রাপ্ত সুবিধা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই। কিন্তু একজন সাংবাদিক ও একজন আইনজীবী যারা দারিদ্রসীমার নীচে জীবন-যাপন করছে এবং অনৈতিক সুবিধা ছাড়া জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি করতে সামর্থ্য নেই, তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন।

অনৈতিক দিকে গেলে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পেশার অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে যার কারণে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের জন্য সরকারের প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।


বাংলাদেশের খবর

Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.

বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com

অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com

ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১